বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- নৃশংসভাবে খুন হতে হল পেশায় পশু চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে। এই খুনের জেরে গোটা হায়দ্রাবাদ আজ তোলপাড়। খুন এবং ধর্ষণ রাজ্যের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একজন অল্প বয়সী পশু চিকিৎসককে এভাবে খুন করার কারণে ফুঁসছে গোটা দেশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৬ বছর বয়সি এই তরুণী পেশায় একজন পশু চিকিৎসক ছিলেন এবং বছরখানেক ধরে শাদনগরের অন্তর্গত কল্লুরু গ্রামের একটি পশু হাসপাতালে চাকরি করতেন। চলতি সপ্তাহের বুধবার থেকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ তাঁকে দগ্ধ এবং মৃত অবস্থায় শাদনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি টানেলের পাশে পাওয়া যায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করছেন, প্রিয়াঙ্কার স্কুটি চাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে শাদনগরে আটকা পড়েছিলেন। তার বোন ভাব্যা জানান, রাত ৯.১৫র দিকে প্রিয়াঙ্কা তাকে ফোন করে বলেন যে কেউ তার টায়ার মেরামত করার জন্য তাকে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যেখানে প্রিয়াঙ্কা দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে অনেক অচেনা লোক এবং প্রচুর বোঝা ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে এমন স্থানে আটকা পড়ে গিয়ে তিনি ভয় পাচ্ছেন। এরপর ভাব্যা তাঁকে বলেন যে গাড়ি ফেলে হেঁটেই চলে আসতে। এর কিছুক্ষন পর থেকেই প্রিয়াঙ্কাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলনা।
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা টানেলের পাস থেকে প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ আবিষ্কার করেছিল। তারাই তারপর পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও প্রিয়াঙ্কার লাশ এমনভাবে পোড়ানো ছিলও যে সনাক্ত করতে পারেননি তারা। পরে তার পরিবারের সদস্যরা একটি লকেটের সাহায্যে তাঁকে সনাক্ত করেছিল। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ মনে করছেন কেরোসিন ঢেলে প্রিয়াঙ্কাকে পোড়ানো হয়েছে। যারা প্রিয়াঙ্কাকে হত্যা করতে পারে তাদের সন্ধানে পুলিশ ১০ টি দল গঠন করেছে।