বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- গত বৃহস্পতিবার শাদনগরের কাছে পাওয়া গিয়েছিলো পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির দগ্ধ মৃতদেহ। নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এবার এই কান্ডের তদন্ত করে পুলিশের সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষণ করে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার পর তারই স্কুটি করে ফিরেছেন দুইজন ধর্ষক।পরখ করে দেখতে এসেছিল যে দেহটি কোনওভাবে চেনা যায় কিনা। এমন নৃশংস হত্যা কান্ডের জন্য গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। সারা দেশ সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি মার্ডার কেসের ন্যায় বিচার চেয়ে।
বুধবার অফিসে গিয়ে সেখান থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন হায়দ্রাবাদ নিবাসী পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি। পরের দিন শাদনগরের চাতানপল্লীর একটি টানেলের কাছে মৃত এবং দগ্ধ অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পুলিশদের খবর দিলে তারা এসে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহটি এমনভাবে পোড়ানো হয়েছিল যে তা সনাক্ত করতে পারেননি কেউ। পরে নিখোঁজ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির বাড়ির লোকেরা এসে তার গলার লকেট দেখে চিহ্নিত করেন যে সেটি তাদের মেয়ে। গতকাল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা তাকে।
পুলিশ সুত্রে খবর, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির স্কুটারের চাকা পাংচার করা হয়েছিল। এরপর তাকে নিয়ে গিয়ে ৪জন মিলে ধর্ষণ করে রাত ২.০০ থেকে ২.৩০টের মধ্যে জ্বালিয়ে দিয়েছিল তার দেহ। যাতে তার দেহ সনাক্ত না করা যায় তার জন্য তারই স্কুটারে চেপে ধর্ষকদের মধ্যে নবীন এবং শিবা নামে দুইজন এসেছিল দেখতে। বাকি দুইজন ছিলেন মহম্মদ আরিফ এবং চেন্নাকেশভালু নামের দুই ব্যাক্তি। এরপর তারা ওই স্কুটারটিকে ওই স্থান থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে কঠুর নামক একটি স্থানে রেখে পালিয়ে যায়।