বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এতদিন সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। সেই চিন্তা শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করে বেড়ে গেলো আলুর দাম, “এযেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা”।
পেঁয়াজের পর এবার মানুষের রাতের ঘুম কেড়েছে আলু। সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে প্রতিদিনই প্রয়োজন আলুর। আর সেই আলুর জোগান হঠাৎ করে কম হয়ে যাওয়াতে শুরু হয়েছে কালোবাজারি। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার বাজার গুলিতে আলু বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীদের এক অংশের দাবী, গত বছর বিভিন্ন জেলার হিমঘরে প্রায় ২ কোটি ৯৮ লক্ষের মতো আলুর প্যাকেট মজুত হয়েছিল। কিন্তু এবছর তার পরিমাণ হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লক্ষের একটু বেশী। এছাড়া ২০১৮ সালে প্রায় ৭৪.৮৫ শতাংশ আলু বেরিয়েছিল। কিন্তু এই বছর প্রায় সব প্যাকেটই বেরিয়ে গেছে। শুধু নতুন বীজের জন্য কিছু আলু পরে রয়েছে। ফলে চাহিদা এবং জোগানের সামঞ্জস্যের অভাবে বেড়ে যাচ্ছে আলুর দর।
এছাড়া পাঞ্জাব থেকে আমদানিকৃত আলুর গাড়ি রাজ্যে চলা উত্তাল পরিস্থিতির ভয় ঢুকতে ভয় পাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বর্ধমানের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক সুনীল ঘোষের দাবী, ” গত কয়েক বছরে ব্যবসায়ী এবং চাষি আলুর দাম পাননি। প্রাকৃতিক কারণে গত বছর আলুর উৎপাদন কম হয়। এবছর বুলবুলের জেরে আলুর চাষ পিছিয়েছে। এবার চাষিরা দাম পেলেও জোগান কম থাকায় আলুর দর বাড়ছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আলুর দাম কমার ইঙ্গিত নেই।”
যদিও ডিসেম্বরের এই সময় “পোখরাজ” আলুর আগমন ঘটে। তবে এই বছর বুলবুলের জেরে তার বদলে ঐরকম নতুন আলু বাজারে এসেছে। কিন্তু তার দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি। এছাড়াও জানা গেছে যে, প্যাকেট আলুর দাম ৮৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় পৌঁছেছে। খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন যে, আলুর দামের এই হেরফের ভবিষ্যতে এর চড়া দামের ইঙ্গিত দিচ্ছে মানুষকে।
মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন,” সুফল বাংলায় ১৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকে আলুর দাম কমতে পারে। যেভাবে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে তা দুঃখজনক”। এছাড়াও রাজ্য সরকার আশ্বাস দিচ্ছে যে, কিছুদিনের মধ্যেই কমবে আলুর দাম। পাঞ্জাব থেকে আলু রাজ্যে ঢোকা শুরু করলেই কমে যাবে আলুর দর। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবে অতি বৃষ্টির কারণে চাষিদের আলু তুলতে বিলম্ব হওয়ায় রাজ্যে আলু ঢুকতে দেরী হচ্ছে।