যশোর থেকে দুই বোন ট্রেনে খুলনায় নামেন। ছোট বোনকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশ তাদের সন্দেহের বসে থানায় ধরে নিয়ে যান। ঐ রাতে খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশ ঐ নারীকে ধর্ষন করেন।
পরের দিন শনিবার ওই নারীকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের চিত্র তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।
ধর্ষিতা নারীর বয়স ২১ বছর। আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার রাতে তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও সময় স্বল্পতার কারণে তা হয়নি। আজ সোমবার সকালে তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়া হবে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ওসি ওসমান গনি গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা প্রদান করার প্রস্তাব দিচ্ছে। পরদিন এদিকে ওসি ওসমান গনি এ ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
পুলিশের এহেন কার্যক্রম নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। স্টেশন সংলগ্ন লোকেরা মনে করেন বিষয়টি সত্য হলে আইনের রক্ষাকারীদের পরে কিভাবে নির্ভর করা যাবে। তার পাশাপাশি অনেকেই মনে করেন বিষয় ভিত্তিহীনও হতে পারে। আজকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর বোঝা যাবে মূল রহস্য কি?