বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক:নারায়নগঞ্জ শহর ও বন্দর ৫ নং আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের কার্যালয়ে ও বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ এ অভিযানে আজমেরী ওসমানের ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত রাত সোয়া ১২ টার দিকে পুলিশ এ অভিযান চালায়। রাত ১টা পর্যন্ত দুই স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত দুই জন নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের শাহাদাত হোসেন এবং মোখলেছুর রহমান। আজেমেরী ওসমান বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের ভাতিজা। স্থানীয়দের তথ্য মতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। অভিযানের শুরুতে ডিবি পুলিশের আটটি গাড়ি আল্লামা ইকবাল সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
অভিযানের সময় সাধারণ যাত্রীদের রিকশা থেকে নামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মালবাহী ট্রাকও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের দল প্রথমে দেওয়ান মঞ্জিলের নিচতলায় আজমেরী ওসমানের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। জানা যায় আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা এলাকার বাচ্চু ঠিকাদার নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে চাদা দাবি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজমেরী ওসমানের নামে চাঁদাবাজি ও একজন ব্যবসায়ীকে মারধর ও হামলার ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে সেসময় আজমেরী ওসমান ও তার অন্য সহযোগীরা কেউ না থাকায় পুলিশ চলে যায়।চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আজমেরী ওসমানের লোকজন সেই ব্যবসায়ীর অফিস ভাঙচুর ও বাচ্চু ঠিকাদারকে মারধর করে। রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাচ্চু ঠিকাদার। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজমেরী ওসমানের কার্যালয় ও বাসায় অভিযান চালানো হয়।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট র্যাব-১১ এর সদস্যরা আল্লামা ইকবাল রোডে আজমেরী ওসমানের মালিকানাধীন ‘উইনার ফ্যাশন’ এ অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা জিন্স প্যান্ট, পিস্তলের বাট ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ বিপুল পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার করে।
পুলিশের অভিযানের সময় অফিসের দেয়াল, সোফা, আলমারিসহ আসবাবপত্রে বুলেটের অনেক দাগ পাওয়া যায়।