রাজনৈতিক চাপানউতোর শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে চলছে তো চলছেই । পশ্চিমবাংলার বেশিরভাগ জায়গায় রাজনৈতিক খুনোখুনি এবং গন্ডগোল চালু । বাড়ি ঘর লুটপাট, ভাঙচুর একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
কিছুদিন ধরেই পাঁশকুড়ার খেজুরি তে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে । এই উত্তাপের মধ্যে এক দল বিজেপি সমর্থকদের নিয়ে সভা করতে যাচ্ছিলেন বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ । কিন্তু মাঝপথে, খেজুরি পৌঁছানোর আগেই ভারতীর কনভয় থামিয়ে দেয় পুলিশ । ভারতী গাড়ির মধ্যে বসে থাকলেও বিজেপি সমর্থকরা রাস্তার উপরে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ।
ঘটনার সূত্রপাত পাঁশকুড়া একনম্বর পঞ্চায়েতের সভাপতি কুরবান শাহ কে ঘিরে ।
কুরবান শাহর অভিযোগ আর পাঁচটা দিনের মতই তিনি দলের কার্যালয়ের অফিসে বসে ছিলেন । কিন্তু স্থানীয় এক যুবককে পিস্তল হাতে নিয়ে সন্দেহজনকভাবে অফিসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তার দলের লোকদের খবর দেন । দলের লোকজন ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দিলে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে । থানায় তৃণমূলের সভাপতি কুরবান শাহ্, তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে বলে জানায় ।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায়, সে বিজেপি করে বলেই তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা কেসে তৃণমূল তাকে ফাঁসাচ্ছে । বিজেপির তরফ থেকে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে । তারা জানিয়েছে বিজেপি এরকম হিংসার রাজনীতি করে না ।