বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দক্ষিন ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় দিগম্বরপুর কর্মতীর্থ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার । সেখানে বাপের বাড়িতে আসা এক মহিলা শ্রমিককে ১৪ দিনের জন্য রাখা হয়েছিল । কিন্তু সেখানেই এক ভিলেজ পুলিশের সাথে সেই মহিলাকে আপত্তিজনকভাবে দেখা যায় । পরে জানা যায়, মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল । এই ঘটনায় ক্রমশ উতপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুর ।
জানা গেছে, দক্ষিন ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় দিগম্বরপুর কর্মতীর্থ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রামনগর আবাদে বাপের বাড়িতে আসা এক মহিলাকে রাখা হয়েছিল । সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গার্ড দেওয়ার দায়িত্ব ছিল দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক ভিলেজ পুলিশের দায়িত্বে । গ্রামবাসীদের অভিযোগ গার্ডের দায়িত্বে থাকা ভিলেজ পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে উক্ত মহিলার শ্লীলতাহানি করে । এই ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকেই উতপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাথরপ্রতিমায় দিগম্বরপুর কর্মতীর্থ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও তার আশেপাশের এলাকা। এলাকায় পুলিশ এলে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে পুলিশের গাড়ি। পুলিশের সাথে প্রথমে কথা কাটাকাটি হবার পর পরে শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি । এই ঘটনায় এক অফিসার সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গেছে, দিগম্বরপুর কর্মতীর্থ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গার্ড দেওয়ার দায়িত্ব থাকা দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক ভিলেজ পুলিশের উপর সন্দেহ হওয়ায়, এলাকার কিছু যুবক প্রথম থেকে তার উপর লক্ষ্য রাখছিল।বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাপের বাড়িতে আসা ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করতে দেখে । ওই ঘটনা তাদের নজরে আসার পরেই এলাকার লোকজন ডেকে তাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বাইরের গেটের তালা লাগিয়ে দেয়।
গণ্ডগোলের খবর পেয়ে স্থানীয় ঢোলাহাট থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । প্রথমে ঢোলাহাট থানার পুলিশ উত্তেজিত মানুষকে বুঝিয়ে ওই মহিলা এবং অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের কর্মীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতা অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বাধা দেয় । শুরু হয় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর । পুলিশের দিকে ছুটে আসতে থাকে ইটের টুকরো। । বিক্ষুব্ধ জনতার ছোঁড়া ইটের ঘায়ে এক অফিসার সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। চিকিত্সার জন্য তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে মন্দিরবাজারের ডিএসপির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে । পুলিশ আটক করেছে সেই অভিজুক্ত ভিলেজ পুলিশকেও । পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ”আমরা ওই কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছি। খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে।”