গত বৃহস্পতিবার(১৪ই ফেব্রুয়ারি) ছিলো ভারতীয়’দের জন্য আরেকটি অন্যতম অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। কাশ্মীরের পুলওয়ামা’র অবন্তীপুরের কাছে শ্রীনগর-অনন্তনাগ হাইওয়ের ওপর সেনা জওয়ান’দের একটি কনভয়ে আঘাত হানে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ‘জইশ-এ-মহম্মদ’। পুলওয়ামা এরই একজন বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার তাদের হয়ে ওই হামলা চালিয়েছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারায় ভারতীয় সেনাবাহিনী’র ৪৪ জন জওয়ান।
এই ঘটনা’কে ভিত্তি করে সাড়া দেশ জুড়ে বহু শোক মিছিল ও বিক্ষোভ দেখা যায় বিগত কয়েকদিন যাবৎ, উত্তপ্ত হয়ে আছে কাশ্মীরের প্রেক্ষাপট।
পুলওয়ামা’র ঘটনার রেশ না কাটতেই গত সোমবার(১৮ই ফেব্রুয়ারি) সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সাথে হানাহানি’তে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় আরও ৪ ভারতীয় সেনা, এনাদের মধ্যে একজন মেজর ও ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের পিংলান এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময়’ই তাদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গি’রা। নিরাপত্তা বাহিনী’র অভিযানে মৃত্যু হয় ২ জন জঙ্গি সহ তাদের আশ্রয়দাতাও।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, পাকিস্তানি জঙ্গি’দের এহেনতর নির্মম আচরণের পর তাদের সঙ্গে আপোষ বা কোনোরকম কথা বলার কিছু নেই আর। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসে গেছে।
আর্জেনটাইন প্রেসিডেন্ট মরিসিওে মাক্রি’র সঙ্গে এক বৈঠকের পর একথা বলেন তিনি। মাক্রি’ও এই সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের আহ্বান জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।