ভোটের বাজার সরগরম। টিভি চ্যানেল হোক, বা সোশ্যাল মিডিয়া, দুই জায়গাতেই চলছে ভোট প্রচারে নানা রঙবেরঙের তরজা।সারা দেশে চললেও সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বাংলার মমতা ব্যানার্জি আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি। একজন ভাষণে কিছু বললেই পরবর্তী ভাষণে চোখা চোখা উত্তর দিচ্ছেন অপরজন। মোট কথা, কেউ কাউকে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ এই নীতি নিয়ে বাক্যবানে বিদ্ধ করার সুযোগ ছাড়ছেন না।
এদিকে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সবেমাত্র দুই দফার ভোট শেষ হয়েছে । তৃতীয় দফার ভোটের জন্য চলছে প্রচার জোরকদমে। এরই মাঝে শুক্রবার বুনিয়াদপুরে প্রচার করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । নরেন্দ্র মোদি এই মঞ্চ থেকেই দিয়ে গেলেন বাংলার পরিবর্তনের বার্তা। তৃণমূলের প্রাক্তন মুকুল রায়ের গলাতেও, ‘বাংলায় কোন গণতন্ত্র নেই’ এই অভিযোগের সুর শোনা যাচ্ছে। এমনকি এককাঠি আগে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই অনুরোধ করে বসলেন বাংলার প্রার্থী হওয়ার জন্য। তার যুক্তি বাংলাকে বাচাতে হলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই তাকে অনুরোধ করা হচ্ছে, বাংলা থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য। তবে সংবাদ মাধ্যমের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুকুলের এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বুনিয়াদপুরের নারায়ণপুরের জনসভায় চোখা চোখা বাক্যবাণে মমতা ব্যানার্জির ‘মা মাটি সরকার’ কে নরেন্দ্র মোদি, এমনকি পাশাপাশি মুকুল রায়ও বিদ্ধ করলেন। তাদের বক্তব্য, এখন তৃণমূলের নিজেদের লোক বা নিজেদের প্রার্থী দিয়ে আর কোন কাজ হচ্ছে না, তাই তারা এবার দেশের বাইরে থেকে লোক এনে ভোটের প্রচার করছে। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন কাণ্ড কখনো ঘটেনি বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদী।এছাড়া নরেন্দ্র মোদী তার ভাষণে, সিটিজেনশীপ বিল, সারদা চিটফান্ড, প্রভৃতি এমন সব বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে।