বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: স্বচ্ছ ভারতের গড়ার ধারাবাহিকতায় ভারতের প্রধামন্ত্রী কিছুদিন আগে ঘোষণা দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষনার লক্ষ্য অর্জন করার কেন্দ্রীয় সরকার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। ভারতের কোমল পানীয় পেপসি, কোকা কোলার মত সংস্থাকে জানান হয়ে প্লাস্টিকের বদলে তারা কি ব্যবহার করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না এরকম বিকল্প তিনদিনের মধ্যে জানাতে হবে। কোমল পানীয় পরিবেশনকারী সংস্থাদের জানানর পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য ও উপভোক্তামন্ত্রী রাম বিলায় পাসোয়ান কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে যাতে প্লাস্টিক বর্জন করা যায় এজন্য একটি কমিটি গঠন করা। উক্ত কমিটি সরকারকে একটি দিক নির্দেশনা জানাবে।
রাম বিলাস বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমদের জানান, “পরিবেশ দূষিত করার ক্ষেত্রে একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে প্লাস্টিক। এ ছাড়াও পশু-পাখিদেরও সমস্যা হয়। আমরা খবর পেয়েছি, আজকাল গরুদের পেটে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “এই বৈঠকে প্লাস্টিকের বদলে ঠিক কী ব্যবহার করা যেতে পারে সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আমি সব পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বলেছি, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের মতামত আমাকে জানাতে।” মন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি সবার কাছে আবেদন করতে চাই, প্লাস্টিক থেকে দূষণ ও বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। তাই পুনর্ব্যবহার না করে বিকল্প কিছু আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তার আগে যতটা সম্ভব কম প্লাস্টিকের ব্যবহার করুন সবাই।”
প্রসঙ্গত সরকার মনে করে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলেও এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকের কোন সমস্যা হবে না। বিকল্প মাধ্যম তৈরি হবে সেখানে প্রচুর পরিমানে লোক নিয়োগ করা হবে। একই সাথে রেলমন্ত্রককেও নির্দেশ দেয়া হয় রেল নীড় ব্রান্ডের দিকে নজর দিতে যেন সেখানেও প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার না করা হয়।
জানা যায় জলের বোতল বর্তমানে পলিথিলিন টেরপথ্যালেট দিয়ে তৈরি হয়। যা ব্যবহারের পর ৯২ শতাংশ পর্যন্ত রিসাইকেল করা হয়। এই প্লাস্টিক শিল্পের সাথে বর্তমানে সাড়ে সাত কোটি লোকের জীবন জীবিকা নির্ভর। এত বড় একটা শিল্প বন্ধ করা হলে অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়বে। প্লাস্টিকের বিকল্প পেপার, কাচ কিংবা স্টিলও পরিবেশ বান্ধব নয়।