বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে । এই তো কিছু দিন আগে বাংলাদেশ থেকে প্রিয়া আমেরিকায় ট্রাম্প কে অভিযোগ জানিয়েছেন । এই নিয়ে অবশ্য সমালোচনার ঝড় কম বয়ে যাইনি ।ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপরে ‘অত্যাচার’ নিয়ে অতীতে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছে ।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে হয় । কিন্তু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে নিন্দা করা হল পাকিস্তানেরই। সেদেশে যেভাবে ধর্মীয় সংখ্যা লঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, একযোগে তার নিন্দা করল আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডা। এমনকী পাকিস্তানের বরাবরের মিত্র চিনেরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। চিনের উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চলে যেভাবে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ দমন করা হয়, তা নিন্দনীয় বলে মনে করে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপরে ধারাবাহিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ এই প্রথম বার নয় । এর আগে একাধিকবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপরে ধারাবাহিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। একবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগের অভিযোগে পাকিস্তানের অনুদান বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল। মাঝে মাঝে পাকিস্তান থেকে কিছু কিছু খবর বেড়িয়ে আসে । সেই খবরে দেখা যায়, হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে তাদের ধর্মান্তরিত করা হয় । এছাড়া চাকরী বা কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পায়না সেখানকার সংখ্যা লঘূরা ।
#WATCH United States, United Kingdom & Canada, at UN meet on Safety of Religious Minorities, in New York, slam Pakistan & China for discrimination against religious minorities. pic.twitter.com/tuSX5fTLls
— ANI (@ANI) August 23, 2019
চীনের বিষয়ে তো কথাই নেই । কারণ চীনের কোণ খবর বাইরে বের হয় না । নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেদেশের উত্তর পশ্চিমে উইঘুর প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নিয়মিত সরকারি দমনপীড়নের শিকার হচ্ছেন। উইঘুরদের মধ্যে যাঁরা চিনা সরকারের বিরোধী তাঁদের এক ধরনের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়।
চিন অবশ্য বলেছে, বন্দি শিবির বলে কিছু নেই। যেগুলিকে বন্দি শিবির বলা হচ্ছে, সেখানে আসলে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেগুলি ভোকেশনাল ট্রেনিং ক্যাম্প। একইসঙ্গে সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে এখন ওই সব ক্যাম্পে বিশেষ কেউ নেই।