বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বিগত সপ্তাহেই কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মজুত অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মি‌ত এম-২৪ স্নাইপার থেকে শুরু করে ল্যান্ডমাইনও পাওয়া গেছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে. জে. এস. ধিল্লন। ভারতীয় হিন্দুদের তীর্থযাত্রায় ব্যাঘাত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের মদতে ওই বিপুল অস্ত্রসম্ভার কাশ্মীরে জমা করা হয়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা যখন তখন তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালাতে, এমনই আশঙ্কা করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়ল কাশ্মীরগামী সাধারণ পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের ওপর। গত শুক্রবার হঠাৎ করেই পর্যটকদেরকে দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দিল কাশ্মীরের প্রশাসন। আর একারণে ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে অমরনাথগামী বহু যাত্রীকে।

যাত্রীদের অভিযোগ, কোনরকম কারণ না জানিয়েই গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশ’টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের যত দ্রুত সম্ভব কাশ্মীর ছাড়তে হবে। আচমকা প্রশাসনের এমন নির্দেশে বিপাকে পড়তে হয় বহু যাত্রীকে। এমনকি কাশ্মীরের বেশ কিছু সাধারণ ব্যবসায়ীও এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। যাত্রীগণ জানিয়েছে যে, ২০ টাকা মূল্যের জলের বোতল তাদেরকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে, খাবারের দাম বেড়ে গিয়েছিল চারগুন।

যাত্রীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে অমরনাথ যাত্রা করেছিলেন। অনেকে আবার আগে থেকে হোটেল বা গেস্ট হাউস বুকিং করে রেখেছিলেন। সুতরাং যাত্রীদেরকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। কলকাতার সল্টলেকের বাসিন্দা, তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের কর্মী অন্তরা হালদার গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। রবিবার সকালে দিল্লি ফেরেন তিনি। ফোনে জানালেন, “প্রশাসনের উচিত ছিল পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার। এ ভাবে সবাইকে শহর ছাড়তে বাধ্য করাটা মেনে নিতে পারছি না।” 

দিন দিন পর্যটকদের জন্য অরক্ষিত হয়ে পড়ছে কাশ্মীর উপত্যকা। এপ্রসঙ্গে ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলছেন, “কাশ্মীরে পরপর যা হচ্ছে, তাতে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও ভূস্বর্গে ট্যুর করানোর ব্যবসা ছেড়ে দেবেন। প্রশাসনের উচিত ছিল, যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ট্যুর শেষ হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।”

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply