বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কতৃক সাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়। ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কতৃক এই বিবৃতির ফলস্বরূপ এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। কিন্তু ভারত সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালো চোখে গ্রহণ করতে পারেনি জম্মু-কাশ্মীর এর নেতাগণ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান।
ভারত সরকারের এহেন ঘোষণার পর সোচ্চার হয়ে ওঠে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। তাঁরা ভারতের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘে নালিশ জানায়। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনও ফল হয়নি। কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা রদের ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কোনরকম প্রস্তাব দেননি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিয়ো গুয়েতরেস। কারণ তাঁর মতে, এই অঞ্চলে জাতিসংঘের অবস্থান সংস্থাটির সনদ অনুযায়ী বলবৎ আছে। পাশাপাশি ভারত এবং পাকিস্তানকে শিমলা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিজেদের সংযম দেখাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। ১৯৭২ সালে সাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান তাঁদের অন্তর্দন্দ্বে কখনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করতে পারেনা।
এদিকে ভারতের অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হয়েছে মতভেদ। বিজেপি সরকার কতৃক গ্রহণ করা এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেননা বিরোধী দল’গুলি। তারাও ক্ষেপে ক্ষেপে সরব হয়ে উঠছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকি, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে বেআইনি দাবি করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেছিলো এক ভারতীয় আইনজীবী। কিন্তু তাতেও তেমন ফল পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, অবস্থা সবদিক থেকেই ভারত সরকারের অনুকূলে চলছে। এমতাবস্থায় সরকারের কাছে সবথেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ হলো কাশ্মীরের শান্তি, সুরক্ষা বজিয়ে রাখা। কিন্তু সেই শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে দাড়াতে পারে পাকিস্তান। কোনও উপায়েই ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত রদ করতে না পেরে অবশেষে নিজেরাই সরাসরি এর বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এএনআই দাবি করছে যে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী লাদাখে ভারত সীমান্তবর্তী বিমান ঘাঁটি স্ক্যারদুতে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, বিমান অভিযানের সঙ্গে জড়িত সামরিক সরঞ্জাম এ ঘাঁটিতে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।
এর থেকে ভারতীয় সূত্রগুলো অনুমান করছে, এরপর হয়তো ওই ঘাঁটিতে জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে তারা। পাক সামরিক এবং বিমান বাহিনীর একযোগে যুদ্ধ মহড়া চালানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে পাকিস্তান, এমনটাই বলা হয়েছে খবরে।