পাকিস্তানকে আর কোন সাহায্য নয় এমনই মনোভাব দেখাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার । যার পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটছে । কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যেভাবে ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে তাতে আর কোনও সৌজন্যের পথে হাঁটছে না ভারত।
১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের সাথে ভারতের চুক্তি হয়েছিল বন্যা সম্পর্কিত তথ্য ভারত পাকিস্তানকে দেবে । ফলে সৌজন্যের জন্য এতদিন পর্যন্ত যে বন্যা সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তানকে দেওয়া হত, সেটাও এবার বাতিল করে দিল ভারত। সৌজন্যমূলকভাবেই এই চুক্তি বছরের পর বছর চলে আসছে। কিন্তু এবার মত বদলেছে নয়াদিল্লি। কাশ্মীর নিয়ে যে উত্তেজনা চলছে তারপর আর এই চুক্তি বহাল রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন কমিশনার অফ ইন্দাস ওয়াটার পিকে সাক্সেনা। তবে এর সঙ্গে সিন্ধু চুক্তির কোনও সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
এতদিন জল যদি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়, তখন সেই সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তানকে দেয় ভারত। ফলে পাকিস্তান আগে থেকেই সাবধান হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারে । এদিকে, ইসলামাবাদের অভিযোগ, ভারতের কারণে নাকি বন্যায় ভাসছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের জল এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোজাম্মিল হোসেনের অভিযোগ, কোনও ধরণের ঘোষণা ছাড়াই একটি বাঁধ খুলে দেওয়ায় কারণে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলকে হাতিয়ার করেই নাকি এখন ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বমুখী যুদ্ধ শুরু করেছে। এমনটাই মনে করছে ইসলামাবাদ।
স্বাভাবিকভাবেই জল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। এবং কৃষি ও সেচের ক্ষেত্রে জলের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। আর সেজন্যেই ভারত এই কৌশলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন পাকিস্তানের জল এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।