এই তো কিছুদিন আগেরই ঘটনা। উরি জঙ্গি হামলা এবং তার উত্তরে ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইক এর কথা কে না জানে? তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পুলয়ামা‘তে ভারতীয় সেনা জওয়ান’দের ওপর জঙ্গি হামলা চালায় পাকিস্তানের ‘জইশ-এ-মহম্মদ’। তবে এবারের সমস্যা আরও জটিল, পুলয়ামা‘তে ভারতীয় সেনাদের ওপর পাক অধিকৃত সন্ত্রাসবাদী দল দ্বারা আক্রমণের উত্তরে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের তিন’টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে শোনা যায়, কিন্তু তার কিছুদিন পরেই সেই হামলার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরিস্থিতি জলঘোলা হয়ে দাড়ায়।
আরেকদিকে একইসাথে দরজায় কড়া নাড়ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তাই রাজনীতিগত জটিলতা’র কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বেসামাল। আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড়ো নির্বাচন লোকসভা ভোট, এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাংবাদিক’দের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে নতুন এক সম্ভবনার উল্লেখ করে আগুনে ঘি ঢালবার প্রয়াস করেন।
পুলয়ামা হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের ওপর একের পর এক চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানের মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছিলো ভারত সরকার, সে কারণে শেষমেশ বাধ্য হয়ে পাকিস্তান নতি স্বীকার করলেও ক্ষোভের আগুন যে এখনও বিদ্যমান সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। মঙ্গলবার সাংবাদিক’দের সাথে ইমরান খান এর আলাপকারে তা আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ভারতের সাথে পাকিস্তানের টানাপোড়েনের বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন যে, আগামী মাসে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে ভারত। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনে ফায়দা লোটার জন্যে এহেন পন্থা অবলম্বন করতে পারে ভারতের রাজনৈতিক দল’গুলি। এমনকি এই সম্ভবনার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের সুরক্ষাব্যবস্থা মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, এই দিন বক্তব্যে আরও একটি কথা ঘোষণা করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের করাচি-তে খুব শীঘ্রই এশিয়া’র সর্ববৃহৎ তেল ও গ্যাসকূপ অবস্থান করবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের অধিবাসীগণ এই বিষয়ে সুখবর পাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তেল-গ্যাস পাওয়া গেলে পাকিস্তানিদের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। শুধুই কি ভাগ্য পরিবর্তন? নাকি ভারতের সাথে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পাকিস্তান, তা ভবিষ্যৎ’ই বলতে পারবে।