বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কথায় আছে কুকুরের লেজ কক্ষনও সোজা হয় না । পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য । ভারতের প্রতি বিদ্বেষ তাদের শেষ হবে বলে মনে হয় না । ৩৭০ ধারা বিলুপ্তকরনের পর ইমরান খান বারবার সারা পৃথিবীকে বোঝানর চেষ্টা করে যাচ্ছে, এই ধারা বিল্পুপ্ত করে ভারত আসলে কাশ্মীরিদের প্রতি অন্যায় এবং অত্যাচার চালাচ্ছে । এদিকে তারা বারবার বলে আসছে যে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তারা, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কাজের সাথে কথার মিল নেই । জইশ ই মোহাম্মদের নাম নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছিল অনেক আগেই এবং জইশ ই মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে বন্ধী করেছিল । কিন্তু পরবর্তী কালে জানা যায়, গোপনে তাঁকে জেল থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করছে পাকিস্তান । কারন একতাই, ভারতে সন্ত্রাস চালানো ।

এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল । নাম বদলে ফেলেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ। আন্তর্জাতিক চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দা সুত্র জানিয়েছে । নাম বদলালেও তারা যে ভারতে সন্ত্রাস চালাবে এ কথা পরিষ্কার । জানা গেছে খুব সম্ভবত ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা । জানা গেছে, জইশ ই মহম্মদের নতুন নাম হয়েছে ‘মজলিস উরাসা এ শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’মজলিস উরাসা এ শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’  নামের মানে জম্মু-কাশ্মীরের সব শহিদদের পরিবারের একসাথে জমায়েত। ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের মনে বিষ ঢোকানোর জন্য এবং বিরোধিতা আরও বাড়ানোর জন্যই এই নাম নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ।  জইশ ই মোহাম্মদের এই নাম বদল ও হামলার পরিকল্পনার পিছনে পাক সরকার ও সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেই খবর ।

তবে কেবল মাত্র  নাম বদল করেনি পাকিস্তান, পাশাপাশি মালিকানাও বদল হয়েছে জইশের। মাসুদ আজহার এখন আর জইশ ই মোহাম্মদের প্রধান নন । তাঁর ভাই মুফতি আবদুল রউফ আসগার বর্তমানে জইশ ই মহম্মদের দায়িত্বে। মাসুদ আজহার পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নাম বদলালেও তাদের বাকি কর্মপদ্ধতি একই রয়েছে। কীভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে হামলা চালাতে হবে, সেই ছকে আছে তারা ।  জইশ নেতা মৌলানা আবিদ মুখতার ইতিমধ্যেই ভারত, আমেরিকা ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। জানা গিয়েছে, ৫ই অগস্টের পর থেকে তৎপরতা শুরু হয় পাকিস্তানে। জইশ ই মহম্মদের কম্যান্ডার মুফতি আবদুল রৌফ আসগার রাওয়ালপিন্ডিতে আইএসআই দফতরে বৈঠক করেন। সেখানেই এই জঙ্গি শিবির ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর নয়, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রও। এ বার আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন, যেমন আল উমনার মুজাহিদিন প্রভৃতির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে তারা ।  ইতিমধ্যেই মানসেরা, গুলপুর, কোটলি প্রভৃতি এলাকায় নতুন জঙ্গি তৈরি করার কাজে নেমেছে তারা । সবাইকে বালাকোটে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দিয়ে হামলার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও চারসাদা, মর্দান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রভৃতি এলাকায় জঙ্গিদের ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একাধিক জায়গা দিয়ে সীমান্তে চাপ বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা নিয়েছে জঙ্গিরা । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ১০০ জঙ্গি তৈরি আছে। জানা গিয়েছে, জঙ্গি নেতা মুফতি আসগার নিজে গিয়ে সেখানে অপেক্ষায় থাকা জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে মুহূর্তে ভারতীয় সেনার সুরক্ষায় কোনও গাফিলতি ধরা পড়ে, ঠিক সেই মুহূর্তে আক্রমণ করতে।

আর ভয়ের খবর, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জইশ নয়, পাকিস্তানের আর এক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবাও তাদের একাধিক প্রশিক্ষণ শিবির ফের চালু করেছে। মীরপুর, সিয়ালকোট, লাহোরের একাধিক জায়গায় রয়েছে এই সব শিবির। তৃতীয় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনও তাদের জঙ্গিদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে । তাদের মূলত গুরেজ সেক্টরে মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply