বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ফের বিপদে পড়েছে ইমরান খান প্রশাসন । এবার করোনায় কাবু হলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি । শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত তাঁর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক । গতকাল তাকে রাওয়লপিণ্ডির সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় অবস্থার অবনতি হয়েছে ।
পাকিস্তানে করোনার থাবা ভাল ভাবেই পড়েছে । ভারতের মত সেখানকার চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত নয় । এছাড়া অনেক পাক নাগরিক প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণকে কোন প্রকার গুরুত্ব দিতে চাইনি । উল্টে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলায় জরুরী ভিত্তিতে গোটাদেশে লকডাউন ঘোষণা করলে পাক প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান সমালোচনা করেছেন । কিন্তু বর্তমানে পাক সরকারের সেই খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনতে শুরু করেছে পাক নাগরিকরা ।
পাকিস্তানের একাধিক নেতা এরই মধ্যে কোভিড সংক্রমণের শিকার। দু-সপ্তাহ আগে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নেতা, তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সৈয়দ আমিনুল হকের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। গত জুনে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার কয়েক দিনের মধ্যেই মারা গিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য মুনির খান ওরাকজাই। খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভার আট সদস্যও করোনা পজিটিভ। এছাড়া সাধারন নাগরিকদের ক্ষেত্রে পাক প্রশাসন উদাসীন ।
এবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে নিয়ে ফের দুশ্চিন্তা শুরু হল । বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি বাড়িতেই ছিলেন । কিন্তু শুক্রবারেই তার করোনা ধরা পড়ে। প্রথমে বাড়িতে আইসোলোশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শুক্রবার দুপুরে হালকা জ্বর আসায় কোভিড টেস্ট করতে দিয়েছিলেন তিনি । সন্ধ্যায় জানতে পারেন রিপোর্ট পজিটিভ। শুক্রবার করোনা ধরা পড়ার পর অবশ্য পাক মন্ত্রী বলেন, হোম কোয়ারানটিনে থেকে ঘরে বসে যাবতীয় কাজ সামলাবেন । সেই সাথে বলেন, ‘করোনা হলেও আল্লার কৃপায় ভালোই আছি। শরীরে কোনও দুর্বলতা নেই। যথেষ্ট চাঙ্গা বোধ করছি। ঘরে বসেই আমার যাবতীয় কাজকর্ম করব।”