ভারতীয় রাজনীতিতে পি চিদাম্বরম একটি অতি পরিচিত নাম । আই এন এক্স মিডিয়া মামলায় সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছিল পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে । সেখানে পি চিদাম্বরম আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন । কিন্তু তার আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয় না । তারপর তিনি আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জরুরী ভিত্তিতে মামলার শুনানির আবেদন করেছিলেন ।কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবারও সেই আবেদন গ্রাহ্য না করে আগামী শুক্রবার ওই মামলার দিন ফেলে।
সিবি আই টিম পি চিদম্বরমের বাড়িতে গেলেও তার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি । তার মোবাইল এবং বাড়ির ল্যান্ড ফোন বন্ধ ছিল । সিবিআই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাড়ির সামনে আইনি নোটিশ জুড়িয়ে আসে । এরপর পরের দিন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী হাজির হন এ আইসিসি দপ্তরে সেখানে তিনি লিখিত বিবৃতিতে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানান । তখন তার সাথে ছিলেন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি ও গোলাম নবী আজাদ এর মত তাবড় তাবড় নেতারা ।
কংগ্রেস দফতরে নিজের বিবৃতি দেবার সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন শুনতে চাননি তিনি । তিনি বিবৃতি দিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে চলে আসেন। বিবৃতিতে তিনি যা বলেন, তার মোদ্দা কথা হলো, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তিনি কোথাও পালিয়েও যাননি। তিনি সারা রাত জেগে তাঁর আইনজীবী তথা বন্ধুদের কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছিলেন। তিনি দাবি করেন, কোথাও কোনও চার্জশিটে তাঁর বা তাঁর পরিবারের কারও নাম নেই। কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে চিদম্বরমের সাংবাদিক বৈঠক করার খবর পেয়ে সিবিআই ও ইডি সেখানে পৌঁছে গেলেও, তার কিছু আগেই ঝড়ের বেগে বেরিয়ে যান চিদম্বরম। ফলে তখন ধরা যায়নি তাঁকে। এর পরেই তাঁকে ধাওয়া করে সিবিআই ও ইডি-র একাধিক টিম পৌঁছে যায় ।
জোরবাগে আর এক প্রস্থ নাটক শুরু হয়। বাসভবনের মেন গেট বন্ধ থাকে। বাইরে তখন সিবিআই অফিসারদের টিম, অসংখ্য মিডিয়া। বাড়ির বাইরে ঘিরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। গেট কেউ না খোলায়, পাঁচিল টপকে ভিতরে নামেন সিবিআই অফিসারেরা। এর পরে এসে পৌঁছন ইডি-র অফিসারেরা। ভিতরে আনা হয় একটি মারুতি আর্টিগা গাড়ি। প্রস্তুতি তখন চরম পর্যায়ে। টানটান উত্তেজনা। এর কিছুক্ষণ পরেই চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে সেই গাড়িতে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যায় সিবিআই।
কংগ্রেস কর্মীরা বাঁধা দেবার চেষ্টা করে সিবি আই ই ই ডি অফিসারদের । কিন্ত সফল না হয়ে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । চিদম্বরম গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর ছেলে কার্তি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এ সব করা হচ্ছে”।