বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: সম্পূর্ণ বিফলে হয়তো যায়নি ISRO-র ৯৭৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট ‘চন্দ্রযান-২’। সম্প্রতি এমন তথ্যই সংবাদ মাধ্যমকে দিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র এক বিজ্ঞানী।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র বহু বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান-২’। খুবই অল্প সময়ে তুলনামূলক কম খরচে এই মহাকাশযান’টি প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য ছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সর্বপ্রথম অবতরণ। কিন্তু লক্ষ্যের একদম নিকটে পৌঁছে ISRO-র সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ‘চন্দ্রযান-২’ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ধরে নেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজের গতিবেগ কমাতে না পারায় ধ্বংস হয়ে গেছে চন্দ্রযান’টি।

কিন্তু সম্প্রতি ISRO-র এক বিজ্ঞানী সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়নি ‘চন্দ্রায়ন-২’, এখনও আশার আলো আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিজ্ঞানী ৭ই সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে সংবাদ মাধ্যমে জানান, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ধ্বংস হলেও অরবিটার হিসেবে ‘চন্দ্রযান-২’ এর ৯৫ শতাংশ এখনও অক্ষত অবস্থায়ই রয়ে গেছে, যেটি চাঁদের কক্ষপথে এখনও সফলভাবে ঘুরছে।

সমগ্র তথ্য থেকে জানা যায়, ‘চন্দ্রযান-২’ এর চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার মিশনের মেয়াদ এক বছর। এপ্রসঙ্গের উল্লেখ করে ISRO-র ওই বিজ্ঞানী আশা প্রকাশ করে বলেন, এক বছরের মিশনে চাঁদের বেশ কিছু ছবি তুলে ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে পাঠাতে পারবে ‘চন্দ্রযান-২’।

তিনি বলেন, ‘চন্দ্রযান-২’ এর পাঠানো সেই ছবিতে ল্যান্ডার বিক্রমের শেষ পরিণতি কী হয়েছে, সেটি ধ্বংস হয়েছে নাকি সংযোগ বিছিন্ন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটিও জানা যেতে পারে। এর ফলে নতুন করে মিশনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply