বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বাদ্যযন্ত্র এক কিন্তু সুর ৬ রকম। এমনই অভিনব বাদ্যযন্ত্রের আবিষ্কারক হলেন একজন ভারতীয়। এই নতুন বাদ্য যন্ত্র যে একদমই অভিনব এবং অবিশ্বাস্য সে বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।

দেবাশিষ ভট্টাচার্য হলেন কোলকাতার একজন বাদ্যযন্ত্র শিল্পী যিনি মূলত কাজ করেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে। অনেকদিন ধরেই তিনি বিভিন্ন প্রকার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি আবিষ্কার করেন একটি নতুন রকম বাদ্যযন্ত্রের। যেটি একটি মাত্র যন্ত্র হলেও তা থেকে বেরোয় ৬ রকমের সুর। আর এই সুরগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। প্রত্যেকটি দেশ হল, ভারত, আমেরিকা, চিন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান। মূলত স্লাইডিং গিটারের ওপর দেবাশিষ বাবু এক্সপেরিমেন্ট করেন। এই বাদ্যযন্ত্রটি হল ২৫ তারের এবং চামড়ার তৈরি। ১৮ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পড়ে দেবাশিষ বাবু এই অদ্ভুত বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কার করেন। এই বাদ্যযন্ত্রের নাম তিনি দিয়েছেন “পুষ্পবীণা”। এই বাদ্যযন্ত্র থেকে বেরোবে, আমেরিকার “বেঞ্জো”, মধ্যপ্রাচ্যের “রাউত”, আফগানিস্তানের “রাবাব”, ভারতের “শরদ”, চিনের “গুজেইং” এবং জাপানের “সামিসান” যন্ত্রের সুর।

এই আবিষ্কারে দেবাশিষ বাবুর সাথে ছিলেন টিফানি চিন নামে আমেরিকার একজন কবি এবং ফিলোজাফার। আর এই বাদ্যযন্ত্রের রূপকার হলেন শান্তিনিকেতনের মনোজ মণ্ডল নামে একজন শিল্পী। এই তিনজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হল এই বাদ্যযন্ত্র। এর আগেও দেবাশিষ বাবু আরও তিনটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। সেগুলি হল ৪ তারের সারেঙ্গী, ১৪ তারের আনন্দি এবং ২২ তারের চতুরঙ্গী। দেবাশিষ বাবু মূলত দেশীয় এবং বিদেশী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা করেন। যার ফসল এই বাদ্যযন্ত্রগুলি। এখন দেখা যাক ভবিষ্যতে তিনি আর কি কি যন্ত্র উপহার দেন আমাদের।

Suchandra Chakraborty is a news reporter and content writer at BongDunia. She has completed her masters from Calcutta University on Mass Communication. She has worked in mainstream media at India. Currently, she is working with BongDunia.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.