বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগামী কাল থেকেই রাজ্য নির্দিষ্ট কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে । রাজ্য প্রশাসন থেকে জানা গেছে এভাবে কড়া লকডাউন করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না । এবার কড়া লকডাউনে কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগের নিয়ম পরিবর্তন করে নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ।
যেভাবে রাজ্যে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড করছে সংক্রমণ, তাতে রাজ্য সরকার আর কোন রিস্ক নিতে চাইছে না । বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার করোনা পরিস্থিতির হাল অত্যন্ত খারাপ জায়গায় । গত কয়েকদিনে এই জেলায় যে পরিমাণে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে তাতে অত্যন্ত চিন্তিত রাজ্য সরকার । অনেকেই আশংকা করছেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে কলকাতাকে টপকে প্রথম স্থানে চলে আসতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা । ইতি মধ্যে কন্টেনমেন্ট জোন প্রায় চারশ’র বেশি এই জেলায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সরকার আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ।
আনলক পর্যায়ে যেভাবে খুব দ্রুত লকডাউনের শিথিলতা ঘোষণা করেছিল তাতে রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এমতাবস্থায় লকাউন শিথিল থাকলেও আর রিস্ক নিতে রাজি না সরকার। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় সব কন্টেনমেন্ট জোনে সব সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সাথে কোন প্রকার যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। কল-কারখানা, মার্কেট কমপ্লেক্স, ব্যবসা বাণিজ্যেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ কড়া লকডাউনের জায়গায় প্রায় শাটডাউন হতে চলেছে কন্টেনমেন্ট জোনগুলি ।
তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে রয়েছে ছাড়। কন্টেনমেন্ট এলাকায় যাতে নিয়ম মানা হয়, সে কারণে পুলিশ এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকবে ২৪ ঘণ্টা। অন্য দিকে রাজধানী কলকাতাতে যেভাবে মারাত্মক হারে করোনা ছড়িয়েছে তাতে কন্টেনমেন্ট জোনে প্রয়োজন মনে হলে রাস্তা আটকে দেওয়া হতে পারে।সিল করে দেওয়া হতে পারে আবাসন এবং বহুতলগুলি ।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার জন্য নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে কীভাবে বাছা হবে লকডাউনের পরিসর সেটা ঠিক করবেন জেলা প্রশাসন এবং পুলিস সুপাররা। লকডাউনে বন্ধ গণপরিবহণ ব্যবস্থা । অটো, টোটো, রিকশা বন্ধ রাখা হবে। কারখানা, সরকারি, বেসরকারি দফতর সব বন্ধ থাকবে। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং খাবার পৌঁছে দেবে প্রশাসন । এতোটাই কড়া করা হবে লকডাউন যে কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকায় কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। বাজার থেকে ওষুধ সব বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। দোকান বাজার সব বন্ধ রাখা হবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া কোনও কিছুর অনুমতি মিলবে না।