বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবার ছেলেদের ছাদনা তলায় দাঁড়ানোর জন্য আর ২১ বছর অপেক্ষা করতে হবে না । ১৮র গণ্ডি টপকাতে পারলেই ছাদনা তলায় দাঁড়ানোর লাইসেন্স পেতে চলেছে ভারতীয় ছেলেরা । মোটামুটি যা খবর, হয়ত এবার শীতকালীন অধিবেশনেই পরিবর্তন হতে পারে ২০০৬ সালের বিবাহ আইন ।
ভারতে সর্বশেষ বিবাহ আইন পাশ করা হয়েছিল ২০০৬ সালে । সেই সময় বিবাহ আইনের দ্বারা বাল্য বিবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল । সেখানে বলা হয়েছিল, বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য ছেলেদের ক্ষেত্রে নুন্যতম বয়স ২১ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছর । এই বয়সের আগে ছেলে বা মেয়ে বিবাহ করলে কিম্বা পরিবারের লোকজন বিবাহ দিলে সেটি আইনসিদ্ধ হিসাবে ধরা হবে না ।
কিন্তু বর্তমানে একজন ভারতীয় ছেলে ১৮ বছর পার হলেই সাবালক হয়, অন্তত ভোট দানের ক্ষেত্রে । তাহলে বিয়ের বেলায় কেন সাবালক হতে আরও ৩ বছর অতিরিক্ত ধরা হবে ? এই যুক্তির উপরে ভর করে আগামী দিনে মোদী সরকার বিয়ের বয়স হিসাবে ছেলেদের বেলায় ৩ বছর কমিয়ে ১৮ বছর করার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে । তবে মেয়েদের বেলায় বিবাহের বয়স ১৮ই থাকবে । পাশাপাশি বাল্যবিবাহ পুরোপুরি রদ করে দেবার প্রস্তাব আসতে পারে ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে সমাজে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য নয়া বিবাহ আইন পাশ করানো হয় । মোদী সরকার ২০০৬-এর বিবাহ আইনের নাকি পরিবর্তন আনতে পারেন । মোদী সরকার নাকি এই আইন বদলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর করতে চলেছে । গত ১৮ই অক্টোবর মোদী মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীরা আলোচনায় বসেন এই প্রস্তাব নিয়ে ।সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক । বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহকে কোনও অবস্থাতেই বৈধতা দেওয়া হবে না। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র ও পাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাঁদের বিবাহে সম্মতি দেওয়া হয়। ততদিন তাদের আলাদা থাকতে হয়। সরকারের বর্তমান প্রস্তাব যদি পাশ হয় সেক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই বাল্যবিবাহকে মান্যতা দেওয়া হবে না।