বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মাত্র কয়েকদিন হল, আমেরিকার সাথে বৈঠক করেছে কিম । কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের দিন কয়েকের মধ্যেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম । SBLM ক্ষেপণাস্ত্রকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হিসাবে গণ্য করা হয় । এবার পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী SBLM (সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র)-এর পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া । জানা গেছে, ডুবোজাহাজ থেকে নয়, বরং সমুদ্রের গভীরের লঞ্চপ্যাড থেকে পরীক্ষামূলক ভাবেই ছোঁড়া হয়েছে ওই ব্যালিস্টিক মিসাইল ।
বাকি দেশ গুলি কে কি বলল তার থোড়াই পরোয়া করে কিম প্রশাসন । বরাবরই তারা অস্ত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সাহসী পদক্ষেপ নেয় । দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্রে খবর, গোপনে, সমুদ্রের গভীরে ডুবোজাহাজ থেকে এসবিএলএম-এর পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া । দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেছেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবহরের দিকে যে কোনও মুহূর্তে আক্রমণ আসতে পারে। আমরাও প্রস্তুত।”
কি এই এসএলবিএম ? এসএলবিএম হল এমন এক ক্ষেপণাস্ত্র যেটি ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া যায় । সবচেয়ে পাওয়ারফুল বলে ধরে নেওয়া হয় এসএলবিএমকে । কারন হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি বেগে ছুটতে সক্ষম শক্তিশালী এসএলবিএম । ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন দেশের হাতে যে সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র । দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্র জানাচ্ছে, পূর্ব উপকূল ধরে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপানের সমুদ্রসীমায় ঢুকেছে ওই মিসাইল । জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রেও বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উত্তর কোরিয়া সমুদ্রের নীচে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যেটি উৎক্ষেপণের পরে দুই ভাগে ভেঙে জাপানের সমুদ্রে ঢুকেছে ।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মুখোমুখি বসেছিল উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকা । কিন্তু এই ঘটনার পর স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কিমের মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নি । উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তোলেননি ট্রাম্প । অবশ্য কিম আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, নিজেদের মনের মতো চুক্তি না হলে কোনও কিছুর প্রভাবেই যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ হবে না ।