বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বিগত ক’দিন আগে ‘সা রে গা মা পা’ গ্র্যান্ড ফিনাল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে গেলো। উক্ত এই অনুষ্ঠানে এই বছরের চ্যাম্পিয়ান হিসাবে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন গোবরডাঙার অঙ্কিতা ভট্টাচার্য্য। একই সাথে এখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মইনুল আহসান নোবেলও, তিনি এদিন প্রিতম রায়ের সাথে যুগ্ম তৃতীয় পুরস্কার পান।
অন্য দিনগুলির মতো গ্র্যান্ড ফিনাল-এও প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নিজেদের বেঁছে নেওয়া গান গাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এই দিন নোবেল ‘বাংলাদেশ’ গানটি গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেটি পূর্বে বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী জেমস্ এর গাওয়া। এই সময় নোবেল মঞ্চে দাড়িয়ে যা বললেন, তাই বিতর্কের মুল কারণ। নোবেল মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের চেয়েও এসব গান তাকে ও অনেককে বেশি আলোড়িত করে।
একারণে বিগত বেশ ক’দিন যাবৎ বিতর্ক দেখা যাচ্ছে নোবেল’কে নিয়ে। সাধারণ দর্শক থেকে সমালোচক মহল, অনেকের কাছেই সমালোচিত হচ্ছেন মইনুল আহসান নোবেল।
এপ্রসঙ্গে কামাল পাশা চৌধুরী গতকাল ফেসবুক পোস্টে লেখে, “নোবেল আওয়ামী পরিবারের ছেলে, সে হিসাবে এই পক্ষের সমর্থন তার তো আছেই।তাই সে জিয়ার নাম সম্বলিত জেমসের এই গানটা গেয়ে বিএনপি সমর্থকদেরও প্রিয় হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ রকম সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের আকাঙ্খা অনেক শিল্পীর মধ্যে অতীতে আমরা দেখেছি। তাদের নাম আমারই মনে নেই।নোবেলেরটা কয়জনের থাকবে? গ্রান্ড ফিনালে এসে এমন একটা গান সিলেকশন করা ছিলো তার চরম মুর্খতা। গানটি এত বড় আসরে গ্রান্ড ফিনালে গাওয়ার মত মান সম্পন্ন নয়।”
বিজয় চন্দ পোস্টে লেখেন, “নতুন কন্ঠশিল্পী নোবেলকে ক্ষমা করে দেয়া যায়না! জাতীয় সংগীত নিয়ে বেহুদা কিছু কথা না হয় বলে ফেলেছে। শিক্ষা, মনের মজবুত ভিত্তি, সেল্ফ কন্ট্রোল কোনটাই ওর নাই। নোবেলও নোলকের মতো খুব অল্প সময়েই হারিয়ে যাবে! আশেপাশের ধান্দাবাজরা কিছুদিন তাকে বাঁদর নাচন নাচায়ে ব্যবসা করে নেবে।”