সারাদেশে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সাড়া জাগিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলেও বর্তমান ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষকদের সংকটজনক পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি সারা দেশে কর্মসংস্থানের বিষয়টি বাজেট পেশ করার আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কে কন্টক শয্যায় শায়িত করে রেখেছে ।
কন্টক শয্যায় শায়িত থেকেও অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন বৃহস্পতিবার সংসদে 2018-19 সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে জানান, চলতি আর্থিক বছরে দেশের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা 7% স্থির করা হয়েছে । পাশাপাশি তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে দাবি করেছেন, আগামী দিনে জিডিপিতে উন্নয়ন এই যদি হয়, তাহলে অনায়াসে চীনকে টপকে বিকাশশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে ভারত ভালো একটা জায়গায় অবস্থান করতে পারবে ।
গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা করার সময় মূল দায়িত্বে ছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াম । নির্মলা দেবী তার অধিক সমীক্ষায় বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আগামী দিনে অপরিশোধিত তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে । যার পরিপেক্ষিতে ভারতের মতো যে সমস্ত দেশ বিশ্ব বাজার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, তাদের তেল আমদানি খরচ অনেকাংশে কমে যাবে এবং দেশে জ্বালানি পেট্রোল – ডিজেলের দাম কমবে । পাশাপাশি দেশের জিডিপির হার অনেকাংশে বাড়বে ।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বর্তমান অর্থবছরে জিডিপির হার 7 শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে থামতে পারে । পাশাপাশি নির্মলা সীতারামন বলেছেন ভারতীয় বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে এবং ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে । এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের এবং দেশের মধ্যে বেসরকারিভাবে বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি পাবে ।
এই গুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কমতে বাধ্য । তবে একথা অস্বীকার করলে চলবে না, সারাবিশ্বে বর্তমানে একটা অর্থনীতির মন্দা চলছে । তার উপরে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আমেরিকার সাথে ভারতের একটা চোরা সংঘাত চালু রয়েছে । আগামী দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এই সংঘাত প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন