বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবার আর পাসপোর্টের জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতে হবে না । ২০২১ সালে সবার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে আগামী বছর থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ভারতের সমস্ত নাগরিকদের জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছে ।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  দেশের সব নাগরিকের পাসপোর্ট থাকবে। আর সেটা ২০২১ সাল থেকেই। ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত সেই ই-পাসপোর্ট দেশের সব নাগরিকের জন্য ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে  আগামী বছরেই দেশের সব নাগরিকের জন্য ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন যাদের পাসপোর্ট আছে তাদেরটাও বদলে ই-পাসপোর্ট করা হবে ।

আগামী বছর থেকেই সমস্ত ভারতীয়দের জন্য ই-পাসপোর্ট এর ব্যবস্থা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করছে । জানা গেছে, এই ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হলে পাসপোর্ট জাল হবার সম্ভবনা অনেকখানি কমে যাবে । তাছাড়া এই ই পাসপোর্টের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে কেউ নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তো বটেই, পুরনো পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে চাইলেও ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ-সহ ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা পাওয়া যাবে সময়ের ক্ষেত্রে । বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়, তাতে বেশ সময় লাগে । তাছাড়া কেন্দ্রের কাছে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় নানা দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে প্রচুর । এই সমস্যাগুলিও দূর হবে এই নয়া পরিকল্পনায় । এই পদ্ধতিতে ১৩০ কোটি দেশবাসীর জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা খুব সময়সাপেক্ষও হবে না।

কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে ই পাসপোর্ট তৈরি বা ইস্যু করার কথা ভাবছে, সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে  ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ হাজার পাসপোর্ট বানিয়ে ফেলা সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে । কেন্দ্রের ধারনা এই পদ্ধতিতে পাসপোর্ট জাল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক পর্যায়ে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ব্যবহার করে ২০ হাজার ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের সিপিভি ডিভিশন থেকে।পরীক্ষামূলক সেই উদ্যোগ সফল হওয়ার পরেই দেশের সব নাগরিকের জন্য একই রকম পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আপাতত জানা গেছে, ই পাসপোর্ট ইস্যু সরাসরি সরকার করবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট এজেন্সি নিয়োগ করা হবে। এজেন্সি নির্বাচনের কাজ করবে বিদেশমন্ত্রক এবং ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার। এর জন্য রিকোয়েস্ট অফ প্রোপোজাল (আরইপি) ইস্যু করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ওই আরইপি-তে বলা হয়েছে, খুব উন্নত পরিকাঠামো চাই ই-পাসপোর্ট তৈরির মত স্পর্শকাতর বিষয়ের জন্য। কারণ, এর সঙ্গে সুরক্ষার প্রশ্নও জড়িয়ে থাকবে।

 সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  প্রাথমিক ভাবে দিল্লি এবং চেন্নাইয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি হবে। পরে দেশের সর্বত্র তৈরির পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এখন দেশে ৩৬টি প্রধান পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। আগামী দিনে তার সবক’টিতেই মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত ই-পাসপোর্ট তৈরি করা যাবে।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.