বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, সম্প্রতি আরও একটি নতুন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। গোটা রাজ্যময় গণপিটুনি আটকাতে রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২৯শে আগস্ট কিংবা ৩০শে আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণপ্রহার সংক্রান্ত আইন প্রস্তাব উথ্থাপন করা হবে।

সম্প্রতি এপ্রসঙ্গে কলকাতা থেকে বিস্তারিত জানালেন পরমাশিষ ঘোষ রায়।

গণপ্রহার আটকানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী’র এই পরিকল্পনা রাজ্যের নিম্নবিত্ত মানুষ এবং পথ-ঘাটে বসবাসকারী মানুষদেরকে নিশ্চিন্ত করবে। কারণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, সম্প্রতি রাজ্যে পরপর একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে গেছে। আর এর ফলে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করে দেখা গেছে, গণপিটুনিতে যারা মার খেয়েছে তাদের অধিকাংশই নির্দোষ, সন্দেহের বশেই তাদের গায়ে হাত তোলা হয়। পরিসংখ্যান আরও বলেছে যে, এই সন্দেহভাজনদের সকলেই সাধারণত নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসিন্দা কিংবা রাস্তায় থাকা ভবঘুরে। উত্তর কলকাতার কাশীপুর, দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের মতো একাধিক স্থানে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এরপরই ব্যাপারটি সম্পর্কে চিন্তিত হয় রাজ্য প্রশাসন, এবং তার পরপরই রাজ্যে গণপ্রহার রুখতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্ন বিল আনার কথা ভাবে বলে প্রশাসন সূত্রেরই খবর।

সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, এখন থেকে রাজ্যে গণপ্রহার রুখতে জেলা পুলিশ সুপারের আওতায় ও কমিশনারেটগুলিতে পৃথক নোডাল অফিসার থাকবেন। এরই পাশাপাশি গণপ্রহার বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য জেলায় ও কমিশনারেটে তৈরি করা হচ্ছে টাস্ক ফোর্স।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট  রাজ্যগুলিকে গণপ্রহার আটকাতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ মানতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গণপ্রহার আতকাতে এই নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.