সম্প্রতি উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-র তাণ্ডব সম্পর্কে কে না জানে? এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে উপকূলবর্তী রাজ্য উড়িষ্যা’য়। তাই সম্প্রতি উড়িষ্যা’কে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে দাবী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, যাতে রাজ্যটিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের এটি অন্যতম একটি দাবি। প্রতি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় ওড়িশাকে। কেন্দ্র থেকে আমরা যে সাহায্য পাই তা মূলত সাময়িক কিছু পরিকাঠামোগত পুনর্নির্মাণের জন্য। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কাজগুলো করার জন্য আমাদের রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে অনেক খরচ করতে হয়। এই মুহূর্তে আর্থিক ধাক্কায় জর্জরিত আমাদের অর্থমন্ত্রক। শুধুমাত্র এই কারণেই ওড়িশাকে আলাদা করে বিভাগের আওতায় আনা প্রয়োজন। গত পাঁচ বছরে ফাইলিন, হুদহুদ, তিতলি, এবার ফণী সামলাতে হয়েছে আমাদের। এছাড়াও প্রতি বছর ভয়ঙ্কর রকমের বন্যা সামাল দিতে হয়।”
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রথমবার উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর থেকে পরপর চারবার তিনি উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী পদ দখল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘ফণী’র মতো ঘূর্ণিঝড়ের সাথে উড়িষ্যাকে এর আগেও অনেকবার মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তবে এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝাতে তিনি বললেন, “আমরা জনজীবনকে স্বাভাবিক আনতে সবরকম প্রচেষ্টা করছি। বিদ্যুতের পরিকাঠামো পুরোপুরি বিপর্যস্ত, বিশেষ করে পুরী এবং খুরদা জেলার কিছু অংশে বিদ্যুৎ আনা গেলেও বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। কয়েক লক্ষ ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা নষ্ট হয়েছে বহু, এমনকি জল সরবরাহও বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন। আগামী বর্ষায় বিপুল পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করার ভাবনা রয়েছে আমাদের।”
এমনকি উড়িষ্যা’র জনজীবন স্বাভাবিক করতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক’কেও হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। উল্লেখ্য, ‘ফণী’র বিপর্যয়ের পর উড়িষ্যা’র জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা’গুলি পরিদর্শন করে উড়িষ্যাকে সবরকম ভাবে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।