বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সাড়া বিশ্বে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কালমেগিকে নিয়ে । ঘূর্ণিঝড় কালমেগি কতটা বিধ্বংসী আকার নেবে বা কতখানি ধ্বংস যজ্ঞ চালাবে সেই নিয়েই চলছে সাধারন মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞদের মধ্য জোর জল্পনা । এবার নাসার স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়ল ঘূর্ণিঝড় কালমেগি ।
ঘূর্ণিঝড় কালমেগিকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে । ফিলিপিন্সে এই ঝড়ের নাম সাইক্লোন র্যামন। আগাম সতর্ক হিসাবে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এবার ঘূর্ণিঝড় কালমেগির গতিপথ এবং কেমন অবস্থায় আছে সেই সংবাদ প্রকাশ করল মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা । নাসার স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে সাইক্লোন কালমেগির গতি প্রকৃতি ।
ঘূর্ণিঝড় কালমেগির আছড়ে পড়ার কথা ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিমি বেগে । এই দুরন্ত গতিতে একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভবনা তৈরি হবে, সেই আশংকায় বিপদ জনক এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে মানুষ জনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছিল । অবশেষে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার স্যাটেলাইট ছবি সামনে আসার পর অনেকটাই স্বস্তি এসেছে ।
২১শে নভেম্বর নাসার স্যাটেলাইটে ঘূর্ণিঝড় কালমেগির যে ছবি এসেছে, তা দেখে নাসা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কালমেগির ঠিক কোন দিকে অভিমুখ হবে এবং তার আকার কেমন সেই বিষয়ে । জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর ফিলিপিন্সের সবথেরে উত্তরের দ্বীপ লুজো পেরিয়েছে এই ঝড়। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কালমেগি দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে । তবে আশার কথা হল, ঘূর্ণিঝড় কালমেগিকে সামলাতে হচ্ছে মাঝ সমুদ্রের দমকা হাওয়াকে । এই দমকা হাওয়ার মুখোমুখি হওয়াতে সাইক্লোন কালমেগির গতি এবং শক্তি হ্রাস পাবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ।
গত ২০শে নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় কালমেগির অবস্থান ছিল ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা থেকে ১০৯ নটিক্যাল মাইল দূরে । সেখান থেকে ঝড়টির অভিমুখ ছিল দক্ষিণপশ্চিম দিকে । আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা জারি হওয়ায় সরকার নিরাপদ স্থানে মানুষকে সরাতে শুরু করে । তবে নাসার স্যাটেলাইট ইমেজে যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কালমেগির কোনও আকার নেই। ফলে আশা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কালমেগির শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে ।