বং ওয়েব ডেক্সঃ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস শুধু মাত্র ভারতবাসী কেন, সারা বিশ্বের কাছে একটি বিস্ময়কর চরিত্র । তাঁকে নিয়ে এক সময় তামাম ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কেঁপে উঠেছিল একসময় । অনেক ভারতীয় নেতার রাতের ঘুম উড়ে গেছিল তাঁর জনপ্রিয়তায় । আজ ভারত স্বাধীন, কিন্তু এর পিছনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের অবদান ছিল অপরিসীম ।
তাঁর সেই উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” এখনও আপামর ভারতীয়দের রক্তে আগুন ছোটায় । অথচ, কোন এক রহস্যময় কারণে এখনও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের মৃত্যু রহস্যের কোন কিনারা হল না, তেমন করে ভারত সরকার উদ্যোগ নিল না এই রহস্যের সমাধান করবার জন্য । যেহেতু, তেমন কোন অকাট্য প্রমান ছিল না, তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ধরে নেওয়া হয়, বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের অকাল প্রয়ান হয়েছিল । কিন্তু ডি এন এ টেস্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সত্য বাইরে আসবে । বাইরে আসবে সেই সত্য, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির চিতা ভস্মের আসল সত্যতা ।
নেতাজি সুভাষচন্দ্রের কন্যা অনিতা বসু পাফ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির চিতা ভস্মের যেন ডিএনএ পরীক্ষা করা হয় ৷ তা করলে সত্য সামনে আসবে এবং তাঁর মৃত্যু ঘিরে বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন ৷ তিনি এটাও জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে অগ্রাহ্য করেছে ৷
এই রহস্য সমাধানের চেষ্টার কথা বলে অনিতা বসু পাফ জানান, যদি না আলাদা কোনও প্রমাণ মেলে , তাহলে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি মনে করেন ৷ অনিতা বসু পাফ বলেন, এজন্য তিনি ব্যক্তিগত ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং জাপান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন যাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রোনকোজির মন্দির থেকে চিতা ভস্ম আনা যায় ৷