বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: এবার হয়তো জাকির নায়েক’কে প্রত্যার্পণ করা হবে। সুযোগ বুঝে সেই রাস্তায় বের করে ফেলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিগত ২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন জাকির, মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ায় বহাল তবিয়তেই আছেন তিনি। এরপর থেকে জাকির’কে ফেরত পাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি বারবার দরবার করলেও মালয়েশিয়া সরকার ঘাড় বদলায়নি। কিন্তু সম্প্রতি সেই দেশের সরকারের রোষের মুখে পড়েছেন জাকির। গত ৮ই আগস্ট তারিখে একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময় সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু এবং চিনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তিনি। এরপর থেকেই জাকির নায়েকের বক্তৃতার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় মালয়েশীয় সরকার, এমনকি তা নিয়ে তাঁকে এক দফা জেরাও করে পুলিশ। এহেন পরিস্থিতির সুযোগেই জাকির নায়েক’কে ভারতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয় নয়া দিল্লী, আর যেমন ভাবনা তেমন কাজ।
সম্প্রতি রাশিয়া’য় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার জন্য গিয়ে ‘ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরাম’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই এক ফাঁকে সুযোগ বুঝে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির বিন মহম্মদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হলেন তিনি। মহাথির বিন মহম্মদের সঙ্গে মোদী’র এই দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকের পর কেন্দ্রীয় বিদেশসচিব বিজয় গোখলে জানান, “আলোচনায় জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশই একমত হয়েছে যে, যে হেতু এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই এই নিয়ে ভারত এবং মালয়েশিয়ার অফিসারেরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন।”
পাশাপাশি এই দিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন হয়। এপ্রসঙ্গে বিজয় গোখলে জানান, “জম্মু ও কাশ্মীরকে নতুন করে সাজানোর পিছনে যে কারণগুলি রয়েছে, তা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। দক্ষতর প্রশাসন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাশ্মীরকে উপহার দেওয়াটাই যে লক্ষ্য, সে কথা মহাথিরকে বলেছেন মোদী। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নিয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।”