বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: টানা এক মাসের জন্য ছেড়ে দেওয়া হল ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর খুনি নলিনী শ্রীহরণকে। তবে কি এবার মুক্তি পেতে চলেছে রাজীব গান্ধীর খুনি?
১৯৯১ সালের ২১শে মে ষড়যন্ত্র করে তামিলনাড়ুতে খুন করা হয় ইন্দিরা পুত্র রাজীব গান্ধীকে। এই দলে ছিল মোট ৭ জন। এরপর রাজীব গান্ধীর খুনি নলিনী শ্রীহরণকে শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নলিনীর স্বামী মুরুগানও ওই জেলে শাস্তি ভোগ করছেন।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে ভেলোর জেলের বাইরে পা রাখলেন নলিনী শ্রীহরণ। না, মুক্তি পাননি তিনি। আসলে সামনেই কিছুদিনের মধ্যে নলিনী শ্রীহরণের মেয়ের বিয়ে। মেয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ করার জন্যই এক মাসের জন্য ছুটি দেওয়া হয় নলিনী শ্রীহরণকে। তবে শর্ত অনুযায়ী, এই এক মাসের মধ্যে ভেলোরের বাইরে পা রাখতে পারবেননা নলিনী শ্রীহরণ। এমনকি কোনও রাজনৈতিক নেতা বা সাংবাদিকদের সঙ্গেও এই সাময়িক ছুটিতে যোগাযোগ রাখতে পারবেননা তিনি।
শুনানি চলাকালীনই সাময়িক ছুটির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন নলিনী। গত বছর নিজের বাবা শঙ্কর নারায়ণের শেষকৃত্যে যোগদানের জন্য মাত্র একদিন প্যারোলে মুক্তি পায় নলিনী শ্রীহরণ। দীর্ঘ ২৮ বছরে এই প্রথমবার দীর্ঘ সময় যাবৎ জেলের বাইরে আলো-বাতাসে থাকার সুযোগ পেলেন নলিনী শ্রীহরণ। গত মাসেই নলিনীকে একমাসের ছুটি মঞ্জুর করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহেই ভারতে ফিরছেন তিনি।
ইংল্যান্ডে ডাক্তারি পড়েন নলিনীর মেয়ে মেগারা। শাস্তি চলাকালীনই জেলের ভিতরে জন্মগ্রহণ করেছিলো নলিনী শ্রীহরণের মেয়ে। জীবনে কোনদিন মা হিসাবে মেয়ের জন্য কোনও কর্তব্য পালন করতে পারেননি নলিনী, তাই এই এক মাসের ছুটি তার জীবনের এক সোনালী অধ্যায় হয়ে থাকবে।