বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু অন্য দিকে বাজারে যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বিশেষ করে আলুর দাম লাগাম ছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে রাজ্যবাসীর । এবার আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার । শুক্রবার নবান্ন থেকে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে ।
লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যে আলুর দাম বাড়া নিয়ে বেজায় বিভ্রান্তির সম্মুখীন হচ্ছিলেন রাজ্যবাসী। শুক্রবার নবান্নে আয়োজিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আগামী ১৫ই আগস্ট এর মধ্যে কলকাতা শহর রাজ্যের প্রতিটি বাজারে কেজি প্রতি ২৫ টাকার বেশি আলু বিক্রি করা যাবে না। শুক্রবার আলু ব্যবসায়ীদের সাথে রাজ্যের টাস্কফোর্সের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার আলু ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে ২২টাকা কেজি দরে আলু কিনে যাতায়াতের খরচ বাবদ প্রতি কেজি আলুতে ১টাকা অতিরিক্ত ধার্য করে পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ২৩ টাকায় বিক্রি করবেন আলু ব্যবসায়ীরা।এছাড়া খোলা বাজারে আগামী ১৫ ই আগস্টের মধ্যে ২৫ টাকা কেজি দরে সাধারন মানুষ আলু কিনতে পারেন সাধারন মানুষ সেই ব্যবস্থা নিতে হবে ।
যেভাবে গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে রাজ্য সরকার লকডাউনের পথে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে । মার্চ মাস থেকে এই লকডাউনের ফলে পরিবহন ব্যবস্থার অসুবিধা এবং রাজ্যের আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে আলুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। যা সামলাতে সাধারণ মানুষ রীতিমতো নাকানি-চোবানি খাচ্ছেন। বর্তমানে বাজারে জ্যোতি আলু কেজিপ্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রমুখি আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা।
এদিকে আলুর দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে আলু উত্পাদিত হলেও বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড় ও ওড়িশাতে বেশকিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের ভাঁড়ারে টান পড়ছে।পরিবহণগত দিক থেকেও খরচ বেড়ে গেছে বেশ কিছুটা । এছাড়া দাম বাড়ানোর জন্য কিছু আলু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করার জন্য আলু মজুত করে রাখছেন । যার কারনে আলুর দাম বেড়ে গেছে । যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবার কোনভাবেই কোল্ড স্টোরেজে ৪০ বস্তার বেশি আলু মজুত করে রাখা যাবে না।