বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতবর্ষে তথাকথিত (NRC) জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে আসাম রাজ্যে ১৯ লক্ষের মত মানুষের এন আর সি তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার অসৎ উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত করে এই পরিকল্পনা করেছে। উগ্র আচরণ, উগ্র জাতীয়তাবাদী, সাম্প্রদায়িক ও জাতিবিদ্বেষী শক্তির নির্দেশেই তাদের এই ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর দ্বারা ধর্ম,বর্ণ জাতী, সম্প্রদায় ও ভাষাকে ভিত্তি করে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। এন.আর.সি থেকে বাদ পড়া সমস্ত সাধারণ অসহায় সম্বলহীন নিপিড়ীত মানুষগুলির জীবন সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে যাবে।নিপিড়ীত মানুষের ঐক্য ধ্বংসকারী এই পদক্ষেপ শাসক পুঁজিপতি শ্রেণির হাতকে শক্তিশালী করে তাদের নির্মম শোষণমূলক ব্যাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করছে।
আমি লেখক এন.কে মণ্ডল দাবি করছি, বহু বছর ধরে আসামে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করতে বন্ধ হবে।
আমি সমস্ত রাজ্য ও দেশবাসীকে অনুরোধ জানাচ্ছি যে এই কঠোর পদক্ষেপ যেন আর কোথাও না হয় এবং আসামের সমস্থ নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যাক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে। আমাদের হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে থাকা ভারতবর্ষতে অশান্তি আসতে দেব না।
কিছু নেতা তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছেন, এটা কখনো মানা যাবে না বলে মনে করছি।
“আর অনুপ্রবেশ করার জন্য বি.এস.এফ এবং সরকারকেই আমি দোষী করছি, তখন তাঁরা কি করছিল।”
“আমি সাফ জানাচ্ছি যে ভারতের সমস্ত সাধারণ মানুষ কোথাও যাবে না, তাঁরা ভারতেই থাকবে।
কেন না যাহাদের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে তাদের নাগরিকত্ব কিভাবে বাতিল হয়।” আর তাঁদের তখন কেন নাগরিক হিসাবে গন্য করেছে তৎকালিন সরকার। এতদিন পরে তাঁরা কোথায় যাবে।”
“ভারতে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তি প্রকৃতপক্ষে ভারতের নাগরিক এবং তাহাদের ভোটাধিকার আছে।”
“যদি সেটায় করতে হয় তাহলে ভারতের সমস্ত নেতাদের আগে পরিচয় দিতে হবে যে তাঁরা কোথাকার ছিলেন, এর জবাব ভারতের জনগনকে আগে দিতে হবে,
আগে নেতারা প্রমাণ করুক যে তাঁরা ভারতীয় নাগরিক কি না।
এইসব আইন বাতিল করুন, ভারতকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করুন, সেইসব না করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে
সরকার বলে আমি মনে করছি
তাহলে স্বাধীনতার পরে কি বুড়ো আঙুল চুষছিলেন সরকার।