বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের আলোচিত বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা হয়েছে। হত্যাকারী নয়ন বন্ড পরবর্তীতে পুলিশের ক্রয় ফায়ারে মারা যায়। তারপর থেকে হত্যাকান্ডে দেখা মেলে রিফাতের স্ত্রী মিন্নি নাম। হত্যার সময় দেখা যায় রিফাতকে বাচানোর চেষ্টা করে তার স্ত্রী মিন্নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন মিডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় মিন্নির নাম আসে হত্যার সহযোগি হিসাবে।

সদ্য প্রকাশিত আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সিসিটিভিতে ধারণ করা। সেখানে দেখা যায়, রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কোপানোর পর তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি একাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভিডিওতে দেখা যায় গত ২৬ জুন সকাল ১০টা ২১ মিনিটে আয়শা একাই একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে রক্তাক্ত ও অচেতন রিফাতকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। সেখানে দাঁড়ানো এক যুবক রিফাত শরীফকে বহন করা রিকশার দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে রিকশার পাশে আসেন।

উপস্থিত অনেকেই এসময় রিফাতকে নেওয়ার জন্য মিন্নিকে সহায়তা করেন। অচেতন রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর আয়শা হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি হাসপাতালের ভেতরে যান। এর কিছু সময় পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন ও চাচা আবু সালেহ হাসপাতালে যান।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সূত্র থেকে জানা যায়, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ও বরগুনা জেলা পুলিশের পৃথক দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। তবে এই ভিডিও কোন ক্যামেরায় ধারণ করা, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ওই সূত্র।

প্রসঙ্গত গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কোপানোর ঘটনায় ধারণ করা প্রথম ভিডিওটিতে দেখা যায়, রিফাতকে সন্ত্রাসীরা যখন কোপাচ্ছিল, তখন তাঁর স্ত্রী আয়শা প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন স্বামীকে রক্ষার। এরপর ওই ঘটনায় দ্বিতীয় যে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়, সেখানে রিফাতকে কলেজ গেট থেকে ধরে পূর্ব দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় আয়শার সন্ত্রাসীদের পেছনে কিছুটা ধীরলয়ে হেঁটে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটি মহল।

উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই আয়শাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আয়শা উচ্চ আদালত থেকে ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে বাবার বাড়িতে আছেন। সংবাদ মাধ্যম কথা বলায় মিন্নিরর প্রতি আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply