সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

ভণ্ড তান্ত্রিকের মায়াজালে আটকে পড়ে বারংবার ধর্ষিতা নাবালিকা

কুসংস্কার একটা মানুষকে কতটা দুর্বল করতে পারে তা সত্যিই অবাক করার মত । এই আধুনিক একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এখনো যে মানুষ কুসংস্কার এর উপর ভিত্তি করে অনেক কিছুই বিশ্বাস – অবিশ্বাস করে,  সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই । আর তার কারণেই ঝাড়ফুঁক,  ওঝাঁ ,  তান্ত্রিক – এরা সাফল্যের সাথে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।

এবার এমনই এক  তান্ত্রিক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এল । এই  অমানবিক ঘটনা ঘটে গেল বসিহাট অঞ্চলে মাটিয়া থানার কৃপালপুর গ্রামে । এক নাবালিকাকে বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে  অভিযুক্ত হলেন একজন ভন্ড তান্ত্রিক । গতকাল বুধবার সেই ভন্ড তান্ত্রিক কে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ।  পাশাপাশি নির্যাতিতা নাবালিকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন ।

এই ভণ্ড  তান্ত্রিক এর নাম হাসানুজ্জামান মন্ডল । তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা । দিন পনেরো আগে হুগলির খানাকুল এর বাসিন্দা বছর পনেরর  এক নাবালিকাকে তার নিজের বাড়িতে এনে রাখেন হাসানুজ্জামান । উল্লেখ্য ওই নাবালিকা টি দমদমের তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতো ।  সোমবার মেয়েটি হাসানুজ্জামানের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ।  পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাসানুজ্জামানের নাটকীয় অত্যাচারের কথা জানায় ।

গাঁ -গ্রামে  বিষয়টি এক কান থেকে আরেক কান হতে বেশি সময় লাগেনি । মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে । ভন্ড তান্ত্রিক তখনও নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে  এলাকার লোক বাধা দেয় এবং সেই নাবালিকাকে এলাকারই  একজন মহিলা পুলিশকর্মীর বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করে । এরপর স্থানীয় থানায় খবর দেওয়ার পর  মাটিয়া থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে । নাবালিকা মেয়েটির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ভন্ড তান্ত্রিক হাসানুজ্জামান কে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে । বর্তমানে হাসানুজ্জামান আরো কী কী অপকর্ম করেছে  তান্ত্রিকের আড়ালে , সেটাই এখন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে । 

মন্তব্য
Loading...