আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য স্বামী-সন্তানদের রেখে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক মহিলা। তাদের অনেকেই দেশে ফিরে আত্মহত্যা করছেন আবার অনেকেই বিদেশে থেকে আত্মহত্যা করতেছে।

২০১৮ সালে সালে সৌদি আরবে আত্মহত্যা করেন মুন্সিগঞ্জ সদরের জহুরা বেগম। মাত্র তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করলেন কেন জানা যায় না। মায়ের মুখ শেষবারের মত দেখার জন্য হন্যে হয়ে ঘোরে ছেলে শামীম। ৯ মাসের চেষ্টায় মায়ের নাশ আনতে পারেন। বর্তমান বছরে ১৭ জন বাংলাদেশীর লাশ এসেছে যারা প্রত্যেকেই আত্মহত্যা করেছেন। বিদেশে নারীকর্মীদের যে আত্মহত্যার হার বাড়ছে তা আশঙ্কা জনক। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৩ জনের আত্মহত্যার তথ্য রয়েছে প্রবাসী কল্যান ডেস্কের হিসাব মতে। এছাড়া স্ট্রোক, দুর্ঘটনা ও অন্যান্য মৃত্যু রয়েছে।

দরিদ্র পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যু হলে পরিবারে নেমে আসে অভাব, অন্ধকার। এসব পরিবারের অভিযোগ আত্মহত্যা দাবি করা হলেও সব আত্মহত্যা নয় হত্যাও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মালিক শ্রমিকদের চিকিৎসা খরচ বহন করতে চায় না এমনকি চিকিৎসা করতে দেশেও ফিরতে দিতে রাজি হয় না। যে মানুষ গুলি নিজের সন্তানের সুখের জন্য বিদেশে যায়, সে কেন সেখানে গিয়ে আত্মহত্যা করবে? আত্মহত্যা করার হলে সে তো দেশেই করতে পারতো। তাহলে দেশ ত্যাগ করে বিদেশে কি সংগ্রাম করার প্রয়োজন কি?

এনজিও লোন পরিশোধ করতে গিয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। আত্মহত্যা বলে মালিক পক্ষ চালাতে পারলে তারা ক্ষতিপূরণ দেওয়া থেকে বেচে যায়। প্রত্যেকটি শ্রমিক সুস্থভাবে বিদেশ যায়। তার প্রমাণ মেডিকেল ফিটনেস নিয়ে এবং সরকারের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে যাচ্ছে তারা। নিশ্চয় সেখানে গিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যাতে তারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এ শ্রমিকদের দেখাশুনার জন্য সরকার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। অথচ এসব রেমিটেন্স যোদ্ধা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।’

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply