বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গতকাল মাঝ রাতে প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব বিল । সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক থেকে বিজেপির বিল পাশ করাতে অসুবিধা হবার কথা নয়, তবুও ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাশ করানো হয় । ভোটের ফলে দেখা গেছে, নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১ টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৮০ টি ।
নাগরিকত্ব বিলটি পাশ করানোর আগে বিতর্কে অংশ গ্রহণ করেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে বিল পাশ করানোর আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বিনা নথিতে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিল পাশ করানোর পক্ষে টুইটে বার্তা দেন । টুইট করে তিনি জানান,
Delighted that the Lok Sabha has passed the Citizenship (Amendment) Bill, 2019 after a rich and extensive debate. I thank the various MPs and parties that supported the Bill. This Bill is in line with India’s centuries old ethos of assimilation and belief in humanitarian values.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 9, 2019
বিপক্ষের অভিযোগের উত্তরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানান, ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ করেছে কংগ্রেস । নেহরু-লিয়াকত চুক্তির মাধ্যমে সেই বিভাজন করা হয়েছে ।ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ না হলে এই পরিস্থিতিই কখনও আসত না। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মুসলিমরা ওই তিন দেশে সংখ্যালঘু নয়। বরং ওই তিন দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র। সেখানে মুসলিমদের ধর্মাচারণে কোনও বাধা নেই। বরং নিগৃহীত হয়েছেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, পারসি, শিখ, জৈনরা । ধর্মীয় বিভাজন করা বিতর্ক প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তখন সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা উত্থাপন করে কেন বিরোধিতা করা হয়নি ? কেন সমানাধিকারের প্রশ্ন তখনও ওঠেনি ?
তবে, বহিরাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের তিনি ভরসা দিয়ে জানান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলিমরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন ।তবে তাদের সেই আবেদন বিবেচনা করে দেখা হবে । রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের কোনওভাবেই ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না ।