পথ চলার সময় রাস্তার পাশে থাকা রেস্তোরার সুস্বাদু খাবারের গন্ধ নাকে আসা মাত্রই জিভে জল সকলেরই আসে। কিন্তু খাবারগুলি যে কোনমতেই ১০০ শতাংশ নিরাপদ নয়, তা এখন আমরা সবাই জানি। বাঁশি, পচা, নিম্নমানের কাচামাল দিয়ে তৈরি জেনেও লোভ সংবরণ করতে পারিনা আমরা।
এ তো না হয় গেলো ফুটপাতের স্বল্পপরিচিত রেস্তোরার কথা। তবে রেস্তোরা’গুলি যদি হয় আন্তর্জাতিক স্তরের সুপরিচিত কোনও সংস্থার, সেক্ষেত্রেও কি একই ভয় পেতে হবে গ্রাহককে? উত্তর হল “হ্যাঁ”। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে দিল্লী’র সন্দীপ সাক্সেনা’র কথা।
৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১০ই জুলাই তারিখে দিল্লী’র সন্দীপ সাক্সেনা নামক জনৈক ব্যক্তি নয়ডার জি আই পি মলের McDonald’s আউটলেটে খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে উক্ত ব্যক্তি একটি McAloo Tikki অর্ডার করেছিলেন। প্রথম কামড়টি বসানোর সাথে সাথেই কিছু একটা অনুমান করেছিলেন ব্যক্তি। ভালো করে দেখার পর তার সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হয়, বার্গারের মধ্যে ছিল আস্ত একটি পোকা। তারপরই বমি শুরু হয়ে যায় ওই ব্যক্তির।
আউটলেটের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তেমন কোনও সদুত্তর না পেয়ে ওই ব্যক্তি দ্রুত পুলিশ এবং জেলা শাসককে এবিষয়ে সমস্তটা জানান। এমনকি ফুড ইন্সপেক্টর-এর কাছেও এই নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই জি আই পি মলের McDonald’s আউটলেটের খাবার পরীক্ষা করায় সন্দীপ সাক্সেনার অভিযোগ নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়। বিষয়টি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল। অবশেষে কমিশনের রায় অনুসারে সন্দীপ সাক্সেনা’কে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭০,০০০ টাকা দিতে চলেছে McDonald’s।