সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

56 ইঞ্চি ছাতি ঠেকিয়ে দিল চীনের প্রাচীর কে – অবশেষে মাসুদ আজহার পরিত্যক্ত

ভোটের বাজারে আবার নতুন সাফল্য নিয়ে এল মোদির কূটনৈতিক কৌশল।পাকিস্তানের ভূমিপুত্র মাসুদ আজহারের মাথার উপর থেকে কৃপাদৃষ্টির করুনার হাত সরিয়ে নিল চিরকালের পরম বন্ধু চীন।পাকিস্তানের হয়ে সাওয়াল করছিল চীন বার বার ,পাকিস্তানের হাতে হ্যাঁ আর না তে না বলে মুখ মিলিয়ে যাচ্ছিল তারা । সারা পৃথিবী কি বলছে তার দিকে নজর ছিল না চীনের।   পাকিস্তানের প্রতি চীনের অন্ধ ভালবাসা কোনদিন পাকিস্তানের দোষ-গুণ, ভালো-মন্দ কিছুই বিচার করে দেখেনি কিন্তু নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক চাপ এবং কূটনীতি কৌশল এর ফলে অবশেষে চিন ও নির্বিষ সাপ এ পরিণত হল ।

মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগের সীমা নেই সেই কান্দাহার থেকে শুরু করে কাশ্মীরে জঙ্গি হানা প্রত্যেকটা ঘটনাতেই মাসুদ এর নাম এসেছে বার বার এবং ভারত প্রমান সহ আন্তর্জাতিক মহলে সেই গুলি পেশ করেছে । আন্তর্জাতিক মহলের সমস্ত দেশগুলো ভারতের পাশে দাঁড়ালো “চীনের প্রাচীর” হয়ে চিন শেল্টার দিয়েছে মাসুদ আজহার কে। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনবার ভেটো প্রয়োগ করে মাসুদ আজহার কে বাঁচিয়ে ছিলো চীন। এই প্রথম চীন-পাকিস্তানের কোন সন্ত্রাসবাদি কে তার সন্ত্রাসবাদের কথা স্বীকার করে নিল।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউ এন- এর পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকা ভারতীয় দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন টুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন,

ভোট চলুক না চলুক মানতেই হবে মোদি সরকারের এই কৃতিত্ব কে। এরকম পুরো বিশ্বকে নিজেদের সাথে এক মঞ্চে এনে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার নজির আর কোন সরকারের আছে কিনা তাতে খুব সন্দেহ আছে।

“একশ তিস কারোর লোগ দুনিয়া সে কিউ ডরেগা, হ্যাম কিউ ডরে” এই কথাটা একমাত্র নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কোন প্রধানমন্ত্রীর বলার সাহস কোনো দিনও হয়নি এবং তার ফলাফল আমারা পেলাম।

 

মন্তব্য
Loading...