সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

ঝাড়খণ্ডে সি আর পি এফ জওয়ান’দের ওপর মাওবাদী হামলা

আনুমানিক চার দশকেরও বেশী সময় ধরে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে মাওবাদী’রা। দরিদ্র কৃষক, মজুর’দের প্রাপ্য পারিশ্রমিকের দায়ে প্রায় কয়েক হাজার মাওবাদী ছত্তিশগড়ের পাহাড়ি এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে। নকশালপন্থী এই মাওবাদী’রা চৈনিক বিপ্লবী মাও সেতুং-এর আদর্শ মেনে চলে।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৮ সালের জুলাই মাসে মাওবাদী আস্তানায় হামলা করে চার নারীসহ আটজন মাওবাদীকে হত্যা করেন ভারতীয় পুলিশ বাহিনী।

১৭তম লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে আকস্মিক হামলা চালায় মাওবাদী বাহিনী, তাতে একজন সাধারণ নাগরিক এবং ১৫ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। এরপর সম্প্রতি ২৮শে মে, মঙ্গলবার সকালে ঝাড়খণ্ডে সি আর পি এফ জওয়ান’দের অতর্কিতে হামলা করা হয়।

তথ্যসূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে ২৮শে মে, মঙ্গলবার ভোরে জরুরী অপারেশনের জন্য সি আর পি এফ-এর নকশাল প্রতিরোধ স্কোয়াড কোবরা কমান্ডো ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ একত্রে সরাইকেল্লা দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে ভোর ৪টে বেজে ৫৩ মিনিটে আকস্মিকভাবে সি আর পি এফ জওয়ান এবং পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আক্রমণের উদ্দেশ্যে রাস্তায় আগে থেকেই আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিলো বলে অনুমান করা হয়।

উক্ত এই হামলায় সব মিলিয়ে মোট ১১ জন আহত হন, যার মধ্যে ৮ জন কোবরা কম্যান্ডো এবং বাকি ৩ জন ঝাড়খণ্ড পুলিশ বাহিনীর সদস্য। আহতদেরকে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রাঁচিতে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

মন্তব্য
Loading...