বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের কাছে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হল এন আর সি। একারণে বেশীরভাগ বাসিন্দাকে নিজ নিজ তথ্য সামগ্রী গুছিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে, যাতে দেশ ছাড়া হয়ে বেহালে পড়তে না হয় কাউকে।
চলতি বছর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় বিপুল সমর্থন পেয়ে জয়ী হন ভারতীয় জনতা পার্টি-র মুখপাত্র নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী’র দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পর থেকেই দেশবাসী’কে নতুন নতুন চমক দিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর এক্ষেত্রে তাঁর প্রধান সেনাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এপ্রসঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং তার পরপরই অসমে এন আর সি চালুকরণের কথা উল্লেখ করা যায়।
বহুদিন যাবতই ভারতীয় জনতা পার্টি’র তরফ থেকে এন আর সি তালিকা বা নাগরিকপঞ্জিকরণ চালু করার কথা বলা হচ্ছিল, এবার তার সূচনা হল অসম উপত্যকা দিয়ে। শুধু অসমই নয়, এন আর সি থেকে বাদ পড়বেনা ভারতের কোনও রাজ্যই। সম্প্রতি এমনটাই জোড় দিয়ে জানালেন ভারতীয় জনতা পার্টি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের বক্তব্যে তিনি জানালেন, তাঁর মতে দেশ থেকে অবৈধ বাসিন্দাদের হটাতে নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এন আর সি প্রয়োজন।
এছাড়াও, সম্প্রতি কিছুদিন আগে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি রাজ্যে এসে এন আর সি-র কথা নিশ্চিত করে যাওয়ার পর আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। কিন্তু রাজ্যবাসী’কে দুশ্চিন্তা করতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, তিনি থাকতে পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি চালু হতে দেবেন না। তিনি বললেন, “গুজবে কান দেবেন না। এনআরসি করতে গেলে রাজ্য সরকারেরও মতামত লাগে। পশ্চিমবঙ্গে তো আমরা সরকারে রয়েছি। আমি বলছি, এনআরসি হবে না। আপনাদের কারো গায়ে হাত দিতে গেলে প্রথমে মমতার গায়ে হাত দিতে হবে। আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম, আছি এবং থাকব।”
তবে অন্য কথা বললেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, ” যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সংশোধিত নাগরিক বিলের মাধ্যমে মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর অধিকার নিশ্চিত করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না। এ ব্যাপারে আমরা তাকে (মুখ্যমন্ত্রী) বিস্তারিত বলব। বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাক, সেটা মমতা চান নাকি চান না? উত্তর তাকেই দিতে হবে।”
দিলীপ ঘোষ আরও জানান, ” মুসলিমরা এক ধরনের কাজে পারদর্শী, হিন্দুরা আরেক রকম। আমরা মুসলিমদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি যে, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা যে কাজে যুক্ত ও দক্ষ; বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী মুসলিমরাও ঠিক একই কাজ নিচ্ছে। তাই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে এখানকার প্রকৃত মুসলিমরা সুযোগ হারাচ্ছে।”