বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রানি রাসমনি রোডের মঞ্চে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী জানালেন, ভারতে গন ভোট হোক, এবং তা রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে । আর কেবল মাত্র তখনই বোঝা যাবে, এই আইন কটা লোক মানছেন, আর ক’টা লোক মানছেন না । মমতার মন্তব্য নিয়ে রাজ্যপাল টুইট করে জানালেন, মমতা দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের অপূরণীয় ক্ষতি করে দিলেন ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে ভারতে গনভোটের দাবী তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু মমতার দাবী কতখানি যুক্তি সঙ্গত সে বিষয়ে আমেরিকার বিদেশ সচিব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন । মমতার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গনভোটের দাবী নিয়ে, মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও গতকাল বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তা নিয়ে আমেরিকা কোনও নাক গলাবে না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর তা নিয়ে তখনই একবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার ভোর হতেই সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল।
আজ রাজ্যপাল জগদীশ ধনকড় তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে, টুইট করে ল বলেন, “বাইরের হস্তক্ষেপ চেয়েমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেরকম অসাংবিধানিক পথে হাঁটছেন তা দেখে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।” সেখানে তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমি ওঁকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উনি তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে নেননি। সাংবিধানিক পদে থেকে একজন বর্ষীয়ান নেত্রী এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এর পরিণতি কী বিপজ্জনক হতে পারে সে ব্যাপারে উদাসীন থাকতে পারেন না।” পাশাপাশি রাজ্যপাল বলেন, “ওঁর অবস্থান দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিপন্থী। দেশকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা এটা কখনওই সমর্থন করবেন না।”
তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে রাজনৈতিক মহলে । এ প্রসঙ্গে, বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য বলেন, “এ ধরনের কথা তো পাকিস্তান বলবে। ওঁর মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন নেত্রীর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাই উচিত নয়”। তবে আজকে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ।