বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: দিনের পর দিন উন্নত হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান, আর তারই জেরে বহু আশঙ্কাজনক রোগের নিরাময় পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে। সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির আরও একটি প্রমাণ মিলল, টিকা প্রদানের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ নিশ্চিহ্ন করতে উদ্যোগী হয়েছেন চিকিৎসকরা।

এই প্রথম শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এই টিকা দানের মাধ্যমে মশাবাহী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বড় জয় আসবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) কেনিয়ার কিসুমু, কাকামেগা ও মোম্বাসায় ম্যালেরিয়ার টিকার প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে।

আনুমানিক ৩০ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই টিকা আবিষ্কার করেছেন। আগামী তিন বছরে নিয়মিত টিকাদান এর মাধ্যমে ৩ লাখের বেশী শিশু’কে টিকা প্রদানের পরিকল্পনা কড়া হয়েছে।

প্রতি শিশু’কে মোট চারটি ডোজের মাধ্যমে এই টিকা প্রদান করা হবে এবং অবশ্যই শিশুর ২ বছর বয়স হওয়ার পূর্বে সবকটি ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। ডব্লিউএইচও এর নিয়মানুযায়ী, পরপর তিন মাসে তিন ডোজ এবং ১৮ মাস পর চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কথা বলা আছে। এই টিকা মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। এপ্রসঙ্গে গবেষকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিকা প্রদানের মাধ্যমে ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের দেহে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং, এই টিকা বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলে আশা করছে ডব্লিউএইচও। উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়ার টিকা সম্পূর্ণ কার্যকর এবং নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে গবেষণাগারে।

ইতিপূর্বে ২০১৮ সালে আফ্রিকার ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউয়ি এই ৩ দেশের কিছু কিছু এলাকায় ডব্লিউএইচও থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়। এখন থেকে সেখানেও নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply