মঙ্গলবার রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং সুকান্ত মজুমদার সংসদে প্রশ্ন তুললে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জবাব দিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রের খবর পাওয়ার পর এই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সরকার পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছে জামাত উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া , জামাত উল মুজাহিদিন হিন্দুস্তান এবংজামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ নামে তিনটি সংগঠন জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে । গত কয়েকদিনে বাংলায় একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান মিলেছে । আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত । এমনকি তাদের সাথে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের যোগ রয়েছে ।
মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি বাংলার মাদ্রাসা গুলিকে ব্যবহার করে জিহাদিরা জিহাদের যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গির যুক্ত তার প্রমাণ স্বরূপ তথ্য পেশ করেন । কাকতালীয় হলেও একথা সত্যি, ওইদিনই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল চক্রী আব্দুর রহিম কে পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার করেছে । তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে । দুদিন আগেই শহর কলকাতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশন থেকে এস টি এফ পৃথকভাবে চারজন নব্য জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ( জে এম বি )- এর চার জন জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং এদের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশি ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য থেকে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর প্রতিক্রিয়া জানা গেছে । তিনি বলেছেন, “কে, কী বলল তা নিয়ে মন্তব্য করব না । তবে প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর । বাংলা কে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে । আমরা কাউকে অযাচিতভাবে দোষী বলতে চাই না । আবার দোষীদের আড়াল করতে চাই না” ।