জ্বালানি নিয়ে ভাবনা আর না আর না। জ্বালানি নিয়ে ভাবনার দিন শেষ। মধ্য প্রাচ্য যে জ্বালানী নিয়ে সমস্ত বিশ্বের ধনী দেশ হয়ে গেছে এখন তাদের চিন্তা। আর জ্বালানি দখল করতে আমেরিকার মত চলবে না দখলবাজি। যে জ্বালানির জন্য ভারত বাংলাদেশের অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। সেই জ্বালানির সমস্যার সমাধান দিলেন ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা।
যোধপুরের আইআইটির এর ছাত্রছাত্রীরা আবিষ্কার করল ‘ফুয়েল অফ দ্য ফিউচার’ বা ‘ভবিষ্যতের জ্বালানি।’ যে পদ্ধতিতে গাছের সালোকসংশ্লেষন হয় তার ঠিক উল্টো পদ্ধতিতে উৎপন্ন হবে জ্বালানি। গবেষকদের তরফ থেকে এরকমই জানা গেছে।
সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় গাছের প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ সূর্যের আলো। সেই আলোতেই জল থেকে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আলাদা করা হবে। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ল্যান্থানাইড’ নামে একটি রাসায়নিক ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটকের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। প্রচুর সেই অনুঘটকই অক্সিজেনকে আলাদা করে তুলে আনবে বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন। সেটাই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে মিথেন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা হয়। কিন্তু সেটা বেশ খরচসাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এর জন্য ১০০০ থেকে ২০০০০ ডিগ্রির তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
আইআইটির অধ্যাপক রাকেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, প্রথমবার এত কম খরচে জ্বালানি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতি বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হলে জ্বালানির জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমবে ৩০ শতাংশ। স্বল্প খরচে এই জ্বলানীর পেটেন্টের জন্য আবেদন জানিয়েছে যোধপুর আইআইটি।