বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ জঙ্গিদের হাতে চিনা অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে । আশঙ্কা করা হচ্ছে চিন ভারতে নাশকতামূলক কাজ করার জন্য এই সব অস্ত্র সরবরাহ করছে । সম্প্রতি মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের থাইল্যান্ডের দিকে মাও তাও প্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অবৈধ চিনা অস্ত্র উদ্ধার হবার পর নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু করতে হচ্ছে ভারতকে ।
মায়ানমারে জঙ্গিদের জন্যই চিনা অস্ত্রগুলি পাঠানো হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে । কেননা, গত ২৩ জুনে ইউরোপিয়ান এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে অস্ত্রগুলি মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জন্য ছিল ।মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র চিনের থেকে এসেছে তা নিশ্চিত হওয়ার পর ইউরোপিয়ান জার্নাল সীমান্তের জাতিগত অস্ত্র সংগঠনকে উদ্ধৃত করে বলে, এগুলি বর্তমানে এএ (আরাকান আর্মি) দ্বারা ব্যবহৃত অস্ত্র নয়। এই ধরনের অস্ত্রগুলি প্রস্তুত করত ডব্লিউএ (ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি) ও কেআইএ (কাচিন স্বাধীন আর্মি), তবে খুব বেশি নয়। এই অস্ত্রগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুলি চালাতে অক্ষম। বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রগুলি আসল এবং চিনের তৈরি।’
ভারতের কাছাকাছি মায়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে চিন অস্ত্র দিয়ে সমর্থন করায় ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বিদ্রোহীরা মায়ানমারের সাথে একটা চোরা সম্পর্ক রেখে চলে । দেখা গেছে মায়ানমারের রাখাইনের সাথে এই সমস্ত গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে । ফলে চিনা অস্ত্র পাবার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভারতের ভিতরে এবং বাইরের নিরাপত্তা নিয়ে ।
আমেরিকার সেনা গোয়েন্দার প্রাক্তন আধিকারিক অ্যান্ডারস ‘চিনের কূটনৈতিক-সন্ত্রাসবাদ মায়ানমারে’ নামে এক সমীক্ষায় বলেছেন যে, ‘চিন অর্থ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে এএ-কে, যারা একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা মায়ানমারে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রসারিত করতে চায়।’ তিনি এও বলেন, ‘ভারত ও মায়ানমারে কূটনৈতিক-সন্ত্রাসবাদের একটি উদ্দেশ্য সাধনের উপায় হল চিন আরাকান সেনাবাহিনীকে সশস্ত্র করে মায়ানমার ও রাখাইন রাজ্যগুলি থেকে চিন ভারত মহাসাগরে উত্তর-পূর্ব ভারতের করিডর পরিচালিত করা।’