বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- মাত্র কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে লন্ডনে সরকারীভাবে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জানান কি এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। আদেও তা হয়নি। সমস্ত দেশ জুড়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। এই তথ্য যে ভুল তার প্রমাণও মিলেছে।লন্ডনের মতো জায়গায় বাংলা ভাষার সরকারী মর্যাদা পাওয়া বাঙালিদের কাছে গর্বের বিষয়। কিন্তু এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে বিচলিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার আসিকুন্নবী চৌধুরী। তাই সত্যই এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানতে তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন লন্ডন সরকারের সাথে। এরপরই সত্য ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন তিনি।
এই খবরটি প্রথম পোস্ট করেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তারপরেই এক এক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে এই খবরটি। এ ব্যাপারে মোস্তফা জব্বার জানান যে, ‘এই খবরটি অনেক জায়গায় দেখে তবেই শেয়ার করেছেন। কারন খবরটি তাঁর ভালো লেগেছিল। যদি এই খবরটি ভুয়ো বলে প্রমানিত হয় তবে তিনি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেবেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে অনেকের কাছ থেকেই তিনি শুনেছেন যে লন্ডনে বহু মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন তাই এই খবরটি প্রচার হওয়ার পর তিনি শেয়ার না করে থাকতে পারেননি’।
এদিন প্রেস মিনিস্টার আসিকুন্নবী চৌধুরী লন্ডনে ফোন করে সম্পূর্ণ খবর জানতে পারেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘লন্ডনে সবচেয়ে বেশী মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন। এরপরই রয়েছে বাংলা ভাষার স্থান। কিছুদিন আগে থেকে লন্ডনের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে জরিপ করা হয় আর এই জরিপের মাধ্যমেই তথ্যটি সকলের সামনে উঠে এসেছে। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৭১ হাজার ৬০৯ জন মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু তাই বলে সরকারী ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়েছে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল বলে প্রমাণ করেছে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট লজিক্যাল ইন্ডিয়ান।