উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। মৌসুমী বায়ু ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্টি হয়েছে লঘু চাপ। এর ফলে দেশের সকল সমুদ্রবন্দরগুলো ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবাহাওয়া অধিদফতের তথ্য মতে “উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।“
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝ থেকে প্রবল অবস্থায় অবস্থান করছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগেও বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া সহ মাঝারি কিংবা ঝড়ো বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কিছু কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এই লঘুচাপের প্রভাবে আগামি দুই দিনে তাপমাত্রা সারা দেশে সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যার প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবাহাওয়া অধিদফতের পূর্বের তথ্য মোতাবেক বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ঈদের দিন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। আজ রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ৩৩ ও রংপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঈদের দিনে ঈদের জামাতের সময়ে বৃষ্টি না হলেও সারাদেশে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে হালকা বৃষ্টিপাত হয়।