বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: রাণাঘাটের রানু মণ্ডল এখন গোটা ভারতবর্ষে সঙ্গীতশিল্পী’র তকমা পেয়েছেন। তেমনভাবে সেলিব্রিটির আসনে পৌঁছাতে না পারলেও ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে ভালো মতন বিতর্ক ছড়িয়েছে, এবং একারণে বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সামনে ভুল করে বেফাঁস শব্দ বলে দেওয়ায় নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। এতো কিছু স্বত্বেও, এখনও পর্যন্ত সারা ভারতবর্ষে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন রাণাঘাট ষ্টেশনের ভবঘুরে রানু মণ্ডল।
সম্প্রতি বেশ কিছু দিন আগে রাণাঘাট ষ্টেশন থেকে রানু মণ্ডল এর গান গাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, আর তারপর থেকেই গোটা ভারতবর্ষে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন রানু মণ্ডল। উক্ত ভিডিও’তে রানু মণ্ডলকে ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গিতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা’ গানটি গাইতে দেখা গেছে। প্রায় ৬০-৬৫ বছর বয়েসে অমন মিষ্টি গলার জন্য ভারতবর্ষের দিকে দিকে রানু’র নাম ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে সামাজিক গণমাধ্যমে রানু’র গলায় ‘এক প্যায়ার কা নাগমা’ গানটি শোনার পর অনেকেই তাঁর গলাকে ভারতের প্রখ্যাত অভিজ্ঞ সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করছিলেন।
হ্যাঁ, অবশ্যই সুন্দর গান করেন রানু মণ্ডল। তাই বলে লতা’র মতো একজন লেজেন্ড এর সঙ্গে তুলনা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছিল মানুষের মধ্যে। সম্প্রতি তা নিয়ে নিজেই মুখ খুললেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর নিজেই।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লতা বলেন, “যদি আমার নাম এবং কাজের সৌজন্যে কারো ভাল হয়, তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। কিন্তু, আমি মনে করি কাউকে নকল করা কখনো স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে না।”
তাঁর গলার সাথে রানু মণ্ডলের গলার তুলনা প্রসঙ্গে তিনি সকল উঠতি শিল্পীদের প্রতি বার্তা দেন, “আসল হও। কাউকে নকল করো না। নিজের স্টাইলে গান গাও, নিজের মনের মত করে গান গাও।”
তিনি আরো বলেন, “আমার, কিশোরদার অথবা মুকেশ ভাইয়ের গান গেয়ে উঠতি গায়কেরা সাময়িক খ্যাতি পেতে পারে। কিন্তু তার স্থায়িত্ব বড় কম।”
বর্তমানে বিনোদন জগতে একাধিক সঙ্গীতশিল্পীর উপস্থিতিতে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় অনেক শিল্পীকেই দেখা যায় নিজের কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে। এপ্রসঙ্গে লতা বললেন, “অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা আমার গান খুব সুন্দর গায়। কিন্তু কত জন তাদের মনে রাখে? প্রথম সাফল্য পাওয়া সহজ। কিন্তু তা ধরে রাখাই আসল। আমার চেনা শুধুমাত্র সুনিধি এবং শ্রেয়া ছাড়া আর কাউকেই কি সেভাবে মনে রেখেছে কেউ?”